

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শামীম হোসেনের ঝড়ো সেঞ্চুরি! চার, ছয়ের বন্যায় উড়ে গেল সিটি ক্লাব; ১১১ রানের বড় জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ৩১০ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রতিপক্ষ সিটি ক্লাবকে তাঁরা গুটিয়ে দিয়েছে ১৯৮ রানে। বল হাতে পাঁচ উইকেট শিকার করেন আরাফাত সানি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মুনিম শাহরিয়ারকে (৩) হারায় আবাহনী। এরপর মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে দারুণ এক জুটি। তবে ৭৭ রানের এই জুটি ভাঙে ৩ নাঈমের বিদায়ে। ৫১ বলে ৬ বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ রান করেন এই ওপেনার।
আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান নাজিবউল্লাহ জাদরান বিদায় নেন ১২ রান করে। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। ফিফটির আগেই থেমে যান তৌহিদ হৃদয় (৪৬)।
এরপরের গল্পটা লেখা শামীম হোসেন পাটোয়ারি আর জাকের আলি অনিকের ব্যাটে। ১৩৮ রানে ৫ উইকেট হারানো আবাহনীকে এই দুই ব্যাটসম্যান এনে দিলেন ৩০৯ রানের বড় সংগ্রহ। ৬৬ বলে ৪টি ছক্কা ও ১৩টি চারে অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে পেলেন নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। এছাড়া জাকের আলি অনিকের ব্যাট থেকে আসে ৬৫ রান।
বড় লক্ষ্যের সামনে ব্যাট করতে নেমে দিশেহারা সিটি ক্লাব। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের একজনও পাননি দুই অঙ্কের দেখা। দলীয় ১৯ রানে নেই তিন ব্যাটসম্যান, ৩৭ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট।
আবাহনীর আরাফাত সানি এদিন দেখালেন স্পিন জাদু। সানির দুর্দান্ত বোলিংয়ে সামনে পড়ে কোনরকম লড়াইও করতে পারেনি সিটি ক্লাব। ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যা আরাফাত সানির পঞ্চম পাঁচ উইকেট শিকার।
মাঝে ১১৬ রানের জুটি গড়েন মইনুল ইসলাম ও আশিক উল আলম। তাতেও রক্ষা হয়নি সিটি ক্লাবের। মোসাদ্দেকের শিকার হয়ে ফেরার আগে মইনুল ইসলাম খেলেন সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস। আশিক উল আলম নাইমের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান। শেষদিকে আর কোন ব্যাটসম্যান পাননি বড় রানের দেখা। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষের আগেই ১৯৮ রানে থামে সিটি ক্লাবের ইনিংস। ১১১ রানের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী লিমিটেড।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আবাহনী লিমিটেডঃ ৩০৯/৫ (৫০ ওভার) মুনিম ৩, নাঈম ৩৭, হৃদয় ৪৬, নাজিবুল্লাহ ১২, মোসাদ্দেক ২৪, শামীম ১০৮*, জাকের ৬৫*; হালিম ১০-০-৮৬-১, রোয়েন ১০-২-৩৩-২, রাজিবুল ৩-০-২৫-০, মইনুল ৭-১-২৬-১, সোহেল ৯-০-৫৯-১
সিটি ক্লাবঃ ১৯৮/১০ (৪২ ওভার) কমল ৭, শফিউল ০, মইনুল ৫, জেম ১৭, আশিক ৬৭, সোহেল ৭৪, রোয়েন ৮, মামুন ১, রাজিবুল ১২, হালিম ১*, আমিনুর ১; সাইফ ৭-০-৩৫-২, সানি ১০-০-৩৩-৫, তানভীর ৮-০-৪৭-১, মোসাদ্দেক ৯-০-৫৩-১
ফলাফলঃ আবাহনী লিমিটেড ১১১ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ শামীম হোসেন পাটোয়ারি (আবাহনী)।