

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে রাকিবুল হাসানের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তবে শুরুর জুটিতেই তাঁদের জয়ের পথ থেকে সরিয়ে দেয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ফিফটি হাঁকিয়ে এনামুল হক বিজয় থামলেও দলকে জিতিয়ে আসেন সেঞ্চুরি হাঁকানো ওপেনার শাহাদত হোসেন দিপু। শেষপর্যন্ত প্রাইম ব্যাংক পেয়েছে ৪ উইকেটের জয়।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সোমবার আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ সংগ্রহ করে ২৬৫ রান। ১১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব; পেয়েছে ৪ উইকেটের জয়।
শাহাদত হোসেন দিপুর অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ম্লান হয়ে গেল রাকিবুল হাসান নয়নের শতরান। প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার শাহাদত দিপু শেষপর্যন্ত থাকেন অপরাজিত, খেলেন ১৩১ রানের ইনিংস। ৯ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে সাজানো তাঁর এই ইনিংস। পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
২৬৬ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার, এনামুল হক বিজয় ও শাহাদত হোসেন দিপুর ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১২৫ রান। ফিফটি হাঁকিয়ে নাবিল সামাদের বলে বিজয় (৫৩) বিদায় নিলে ভাঙ্গে জুটি।
নাবিল সামাদের দ্বিতীয় শিকার অভিমন্যু ঈশ্বরন। ব্যক্তিগত ১১ রানে হয়েছেন বোল্ড। ইনিংস বড় করতে পারেননি নাসির হোসেনও (১৪)। শামসুর রহমান শুভর ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৭। মেহেদী হাসান ১৬ বল খেলে ফিরেন ২৫ রান করে। অধিনায়ক অলক কাপালি ১ রান করতেই কাটা পড়েন মাশরাফির বলে।
এক প্রান্তে উইকেটের মিছিল, অন্যপ্রান্তে শাহাদত হোসেন দিপুর অতি সুন্দর ব্যাটিং। পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। শেষদিকে নাহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দিপু। ৮ বলে ২ ছয় ও ১ চারে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন নাহিদুল।
বল হাতে প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পেরেছেন কেবল নাবিল সামাদ। ৩৩ রান খরচায় তিনি তুলে নেন ৩ উইকেট। মাশরাফি বিন মর্তুজা ১০ ওভারে ৬০ রান খরচায় শিকার করেন এক উইকেট।
এর আগে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ইনিংসের শুরুতেই পড়ে বিপাকে। রুবেল হোসেনের গতির ঝড়, আর নাহিদুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণি। স্কোরবোর্ডে ২০ রান তুলতেই নেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান।
ওপেনিংয়ে আসা সাব্বির রহমানকে নিজের প্রথম ওভারেই বোল্ড করলেন রুবেল। কেবল ১ রানেই সাজঘরের পথে হাটেন সাব্বির। তিনে নামা তানভীর হায়দারকেও (৭) বোল্ড করে ফেরান রুবেল। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান নাহিদুল ইসলাম। ২৫ বলে ৭ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে।
এরপর নাইম ইসলাম ও রাকিবুল হাসান নয়নের ব্যাটে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের প্রতিরোধ। ২০০ রানের জুটি এই দুইয়ের ব্যাট থেকে। রাকিবুল সেঞ্চুরি হাঁকালেও দ্বারপ্রান্তে থেকে বিদায় নেন নাইম। ৯১ রানে নাইম প্যাভিলিয়নে ফিরলে ভাঙ্গে তাঁদের দুইশত রানের অনবদ্য সেঞ্চুরি। এরপর রাকিবুলও উইকেটে থাকেননি বেশি সময়। অলক কাপালির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে খেলেন ১২১ রানের ইনিংস।
শেষে চিরাগ জানি ১০ এবং মাশরাফি মর্তুজা ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ইনিংস থামে ২৬৫ রানে।