

গত ১৭ মার্চ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমিতে মাশরাফি বিন মর্তুজার খোঁজে ব্যস্ত মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দেখা যায়। সামনে পাওয়া সংবাদকর্মীদেরও জিজ্ঞেস করেন মাশরাফি ভাই কি চলে গেছে? কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য মাশরাফিকে খুঁজে পান সাইফউদ্দিন, দুজনে বেশ কিছুক্ষণ একান্ত আলাপও সারেন। সেদিন কেন এভাবে বাংলাদেশের সফল অধিনায়ককে খুঁজেছেন সাইফউদ্দিন সেটিই আজ জানালেন নিজে।
এমনিতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডারের। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোটে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন। ফিরতে অপেক্ষা করতে হয়েছে চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) শুরু হওয়া পর্যন্ত।
মাঝের সময়টায় কোনো কিছুই যেন ঠিকঠাক হচ্ছিলো না। খেলতে পারেননি বিপিএলের মতো দেশের অন্যতম সেরা ঝমঝমাট টুর্নামেন্টেও । কিছুটা হতাশায় ভুগতে থাকেন। এতোটাই হতাশা কাজ করে যে জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বিসিবির শুনানিতেও হাজির হতে হয়। এরপর করে বসেন সংবাদ মাধ্যম নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য, এ নিয়ে তোলপাড় কম হয়নি।
মূলত সব মিলিয়ে বাজে সময় থেকে পালাতে চাওয়া সাইফউদ্দিন আশ্রয় খুঁজেছেন মাশরাফিতে। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ডিপিএল খেলছেন মাশরাফি। সেদিন মাঠে এসেছেন দলের হয়ে অনুশীলন করতে। একটি সংবাদ মাধ্যমের লাইভে ব্যাপারটা জানতে পেরেই ছুটে আসেন সাইফউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও জানতাম না মাশরাফি ভাই এসেছে, রূপগঞ্জের হয়ে খেলবে। আমার ছোট ভাই ফেসবুক লাইভে দেখছিল একটা নিউজে যে মাশরাফি ভাই ব্যাটিং, বোলিং অনুশীলন করছে। ও তখন সাথে সাথে আসে যে ভাই আমি মাশরাফি ভাইয়ের সাথে ছবি তুলবো। পরে মাশরাফি ভাইয়ের সাথে ছবি তুলে দিয়ে আমি কথা বলি।’
‘মাশরাফি ভাই অনেক ইনজুরি প্রবণ ছিল, কীভাবে কামব্যাক করেছে বা কীভাবে একটা জিনিস…আমাকে বলল চিন্তা করিস না। তো আসলে বেশি কিছু না, বড় ভাইদের কিছু কিছু মোটিভেশন অনেক কিছু বদলে দেয়। আমি এমনিতেই মাশরাফি ভাইয়ের সাথে কথা বলতাম। আমি ভাবছি মাশরাফি ভাইয়ের সাথে কথা বলবো আমার সব বিষয় নিয়ে, ব্যক্তিগত।’
‘যেহেতু আমি কিছুটা হতাশায় ছিলাম বা উলটা পালটা কিছু কথা বলতেছি বা নিজের ভেতর ভালো লাগতেছে না, কাজ করার প্রবণতা কটু কমে গিয়েছিল। তো এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য উনার অফিসে হোক বাসায় হোক কথা বলার জন্য পরিকল্পনা করেছিলাম। যেহেতু উনাকে মাঠেই পেয়ে গেলাম এগুলো নিয়ে কথা বললাম আরকি।’