

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত নাম। মূলত তার অধীনে দলের পারফরম্যান্স হতাশাজনক বলেই। যদিও শেষ মুহূর্তে তাকে ঘিরে বিতর্কের কারণ অদ্ভুত এক চুক্তিতে তার মেয়াদ বাড়ানো। টাইগারদের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফিও ডোমিঙ্গোর ব্যর্থতার পাল্লাটা ভারী দেখেন।
ডোমিঙ্গোর অধীনে মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন মাশরাফি। ২০২০ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে অধিনায়কত্বের বিদায়ের পর আর কোনো সুযোগ পাননি মাশরাফি।
এরপর সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপে বেশ কয়েকবারই জানিয়েছেন ডোমিঙ্গোর কোচিং ধরণ পছন্দ নয় তার। প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
এবার জানালেন আরও নেতিবাচক বিষয়। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএলে) লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলবেন মাশরাফি।
আজ (১৭ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আবারও কথা বললেন জাতীয় দলের প্রধান কোচকে নিয়ে। মাশরাফি বলছেন ডোমিঙ্গোকে নিয়ে ক্রিকেটারদের রয়েছে অভিযোগ।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি সেটা হল প্লেয়ারদের অনেক কমপ্লেইন আছে তাকে নিয়ে। প্রথম যেই জিনিসটা সেটা হল আপনার ড্রেসিংরুম হ্যাপি থাকা। সেটা যদি থেকে থাকে তাহলে ওকে ফাইন। আমার কাছে মনে হয়নি সেটা।’
‘তাই আমি খোলামেলা বলেছি। আর রাসেল ডোমিঙ্গোর রেশিও (জয়ের অনুপাত) বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অতো ভালো না। এখন বিসিবি যদি তাকে নিয়ে হ্যাপি থাকে তাহলে ইটস আপ টু বিসিবি।’
সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট জয়ের পর ডোমিঙ্গো নিয়ে কিছুটা ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু মাশরাফির মতে দুই-এক ম্যাচে জয়ের কৃতিত্ব পেলে অনেক ম্যাচে হারের দায়ভারও নিতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচকে।
দেশের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক বলেন, ‘দল যখন সফল হবে সেটা তখন অবশ্যই সেটা তার ক্রেডিট। আমি খুব বেশি ম্যাচ ওর সাথে খেলিনি। ওকে নিয়ে কথা বলার সুযোগ আমার কম। তবে যত ম্যাচ আমরা হেরেছি, সেই দায়ভারও কিন্তু তাকেই নিতে হবে। আমরা অনেক ম্যাচ এখানে হেরেছি, যেগুলোয় আমাদের হারার কথা না।’
‘নিউজিল্যান্ডে যেটা জিতেছিলেন সেটা আমাদের সাফল্য ছিল। তবে পার্সোনাল মতামত যদি আমার কাছে জানতে চান তাহলে আমি বলবো ব্যর্থতার পাল্লাটা তার ভারি। এটা আমার কাছে মনে হয়। আমি আগেও বলেছি বাংলাদেশ দল এখন আর সেই জায়গাটাতে নেই যেটা দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যায়।’