

শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত সাকিব বিশ্রাম চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। বোর্ডও তার স্বার্থ আমলে নিয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে। তবে এতে বিপাকে পড়লো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাদের আশা ছিল অন্তত সুপার লিগের ম্যাচগুলোতে সাকিবকে পাওয়া যাবে।
কিন্তু ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সাকিবকে সব ধরণের ক্রিকেট থেকেই বিশ্রাম দিল বিসিবি। এতে করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) কোনো ম্যাচই খেলার সুযোগ পাবেন না হয়তো টাইগার অলরাউন্ডার।
যদিও আজ (১০ মার্চ) রাতে দেশে ফেরার পর সাকিবের সাথে আলাপ আলোচনা করে কোনো পথ বের করা যায় কীনা সেটা নিয়ে ভাবছে মোহামেডান কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে আজ রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে মোহামেডান পরিচালক এজিএম সাব্বির বলেন, ‘আমরা এখন সাকিবের সাথে কথা বলে দেখবো। যে সে বলেছে ও মেন্টালি ও ফিজিক্যালি খেলার জন্য ফিট না, সেটা সে কোন পর্যায়ে আছে।’
‘ও যদি বলে সুপার লিগের কোন ম্যাচ ও খেলতে পারবে, তখন… ও যেহেতু বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়, কিভাবে সে বোর্ডকে অ্যাপ্রোচ করবে সেটা একটা ব্যাপার। সেই অনুযায়ী আমরাও ক্লাবের তরফ থেকে অ্যাপ্রোচ করব।’
দল গুছানোর আগে মোহামেডান পরিকল্পনা করেছিল সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে হয়তো টেস্ট সফর থেকে বিশ্রাম নিবেন এমন চিন্তা করে। তবে সাকিব পুরো সফর থেকে বিশ্রাম চেয়েছেন, যা চমক হয়েই এসেছে মোহামেডানের কাছে।
সাব্বির যোগ করেন, ‘আমরা যখন টিম গোছাচ্ছিলাম তখন ব্যাপারটা এমন ছিল যে আমাদের যে মেইন ৪-৫ জন প্লেয়ার- সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ, মিরাজ তারা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসে জয়েন করবে। আমাদের একটা কনফিউশন ছিল সাকিব টেস্ট খেলবে কীনা।’
‘এই একটা জায়গাতে আমাদের কনফিউশন ছিল। কিন্তু সাকিব পুরা সিরিজটা স্কিপ করবে এটা আমাদের একেবারেই জানা ছিল না। এটা আমাদের কাছে শক, সারপ্রাইজ হিসাবে এসেছে।’
তবে সব ছাপিয়ে আগে দেশের হয়ে খেলুক সাকিব সেটাই চাওয়া মোহামেডানের।
সাব্বিরের ভাষ্যমতে, ‘এখানে সবার আগে দেশ, তারপর ক্লাব। আমরা মনে করি সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরাদের একজন কারণ ও বাংলাদেশের হয়ে পারফর্ম করেছে। আমরা দেখতে চাই সাকিব বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করুক।’
‘মোহামেডান ক্লাবের আমরা ও সমর্থকরা চাই সাকিব দেশের হয়ে খেলুক। এরপর যদি ওর অ্যাভেইলেবলিটি থাকে তাহলে ও মোহামেডানের হয়ে খেলবে ইন শা আল্লাহ।’