

শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত সাকিব আল হাসান ক্রিকেট উপভোগ করছেন না, বিশ্রাম চান। এমন সব তথ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরে নেতিবাচক বার্তাই দিয়েছেন বলে মনে করে বিসিবি। যা চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে কোড অব কন্ডাক্ট ভঙের মধ্যে পড়ে। সাকিবের বিতর্কিত সব কান্ডকে ভালো উদাহরণ হিসেবে দেখছেন না বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সিরিজ মানেই সাকিব খেলবে কি খেলবে না এ নিয়ে সংশয়, অনিশ্চয়তা। চোট, বিশ্রাম, ছুটি মিলিয়ে সাকিব যেন বড় গোলক ধাঁধার নাম। সর্বশেষ আলোচনার খোরাক জোগালেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে বিশ্রাম চেয়ে, যার পেছনে কারণ বর্তমানে তিনি ক্রিকেট উপভোগ করছেন না।
বিসিবি অবশ্য এই ইস্যুতে দুইদিন সময় দেন সাকিবকে। আজ (৯ মার্চ) দুইদিন শেষে হলে সাকিব জানিয়েছেন তিনি আছেন আগের অবস্থানেই। যে কারণে সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিসিবি তাকে ছুটি দিয়েছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই নাম উঠে গেল টাইগার অলরাউন্ডারের।
বিশ্রামে চাওয়াকে দোষের না হলেও সাকিবের চাওয়ার ধরণ নিয়ে আছে প্রশ্ন। বোর্ডের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে না এসে সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেন নিজের ক্লান্তির কথা। বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ কোনো ক্রিকেটার এমনটা সহজেই করতে পারেন না। সাকিব নিজেও পরে সেটি বুঝেছেন, যা বলেছেন, যেভাবে বলেছেন তা ছিল হিট অব দ্য মোমেন্টে।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস আজ (৯ মার্চ) বলেন, ‘ব্রেক করেছে কিনা (কোড অব কন্ডাক্ট)…আমি বলেছি মিডিয়ায় বলার আগে আমাদের সঙ্গে বলা উচিত ছিল। সে বলেছে যে ব্যাপারটা সে জানে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।’
‘হিট অব দ্যা মোমেন্ট সেটা সে বলতে পারে। যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। কিন্তু এর পরে কি সিদ্ধান্ত বা কি হবে সেটা এই মুহুর্তে বলতে পারছি না। সে আসুক তারপর দেখা যাবে।’
ব্যাপারগুলো তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য নেতিবাচক বার্তা দেয় উল্লেখ করে জালাল আরও যোগ করেন, ‘এটা কখনই ভালো উদাহরণ না। এটা আমরাও স্বীকার করি। কারণ আরো ১৪জন ক্রিকেটার আছে। তারা তো সিনিয়রকেই ফলো করে। আমরাও চাইবো সিনিয়রদের ভাইবটা পজিটিভ হওয়া উচিত।’