

ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর তামিম ইকবাল ১৫ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন ১০ টিতে, বিপরীতে হার ৫ ম্যাচে। যেখানে দুইটি হার তামিমকে কষ্ট দেয় আলাদা করে। তবে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নিজে মূল্যায়ণ না করে সে দায়িত্ব অন্যদের উপর ছেড়ে দিলেন টাইগার ওপেনার।
২০২০ সালে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পান তামিম। তবে করোনা প্রভাবে স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলতে অপেক্ষা করতে হয় প্রায় এক বছর। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়।
স্থায়ী অধিনায়কত্ব পেয়ে মোট ৫ টি সিরিজে নেতৃত্ব দিলেন এখনো পর্যন্ত। যেখানে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে হারা একটি করে ম্যাচে কষ্ট আছে তামিমের।
২০২১ সালের মে মাসে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেসে আসে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ওয়ানডেতে হেরে বসে টাইগাররা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজেও একই দশা। আফিফ-মিরাজের ব্যাটে প্রথম ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্য জয়, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আসে দাপুটে জয়। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচেই খেই হারায় বাংলাদেশ, বরণ করে নেয় পরাজয়।
আলাদা করে এই ম্যাচ দুটো নিয়ে অতৃপ্তি আছে তামিমের। মূলত সিরিজগুলো ওয়ানডে ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের অংশ বলে ঘরের মাঠে এই দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারানো তাকে কষ্ট দিয়েছে।
আজ (৯ মার্চ) মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দুইটা ম্যাচ যেটা আমার কাছে কষ্ট লাগে, একটা ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। একটা আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আমরা ডমিনেট করছিলাম সিরিজটা কিন্তু স্ট্রংলি ফিনিশ করতে পারিনি। ওদিক থেকে কিছুটা হতাশার। তবে জীবন এভাবেই চলবে। আপনি চ্যালেঞ্জ করবেন, আপনাকেও সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।’
সবমিলিয়ে নিজের অধিনায়কত্ব মূল্যায়ণ নিজে না করলেও যেভাবে সব চলছে তাতে খুশি তামিম, ‘আমি ১২-১৪ টা ম্যাচ অধিনায়কত্ব করেছি। আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটা ম্যাচ আমার জন্য শেখার জায়গা। প্রত্যেকটা ম্যাচে আমাকে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেগুলো থেকে আমি শিখেছি। অধিনায়কত্ব এমন এক জিনিস, আনটিল, আনলেস অনেক দিন ধরে অধিনায়কত্ব করছেন,,,বয়সভিত্তিক থেকে অধিনায়কত্ব করছেন তাহলে আপনার অভিজ্ঞতা থাকবে।’
‘আমার জন্য প্রত্যেকটি ম্যাচ শেখার মঞ্চ। প্রত্যেকটা ম্যাচে নতুন পরিস্থিতি থাকে শেখার জন্য। আমি কেমন অধিনায়ক, কেমন দলের প্রতি অবদান রাখতে পারছি সেটা আমি কখনোই নিজে রেট করতে পছন্দ করি না। অন্যরা আমাকে রেট করবে। এখন পর্যন্ত যেভাবে যাচ্ছে তাতে আমি খুশি।’