

বাংলাদেশ টাইগার্সের দুই সপ্তাহের ক্যাম্প শেষ হল আজ (৭ মার্চ)। ক্যাম্প শেষে জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানালেন এই ক্যাম্প শুধু খেলোয়াড়, কোচ নয় সহায়ক হচ্ছে নির্বাচকদের জন্যও।
চোট কিংবা পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ টাইগার্স নামক ছায়া দলের আবির্ভাব। গত মাসের শেষদিকে প্রথমবারের মতো ক্যাম্প শুরু হয় বাংলাদেশ টাইগার্সের।
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে থাকতে পারে এমন ক্রিকেটারদেও রাখা হয় ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে। টেস্ট কাপ্তান মুমিনুল হকের ইচ্ছেতে ক্যাম্পের জন্য বেছে নেওয়া হয় কিছুটা বাউন্সি উইকেটের বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে।
যেখানে ক্রিকেটারদের দেখভালের জন্য দেশী-বিদেশী কোচিং স্টাফের তালিকাটাও ছিল লম্বা। দেশী উঠতি অনেক কোচই নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার উপলক্ষ্য হিসেবে নিয়েছেন এই ক্যাম্পকে।
আজ ক্যাম্পের শেষদিন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন এক ভিডিও বার্তায় জানালেন বাংলাদেশ টাইগার্স যে উদ্দেশ্য নিয়ে পথ চলা শুরু করেছে সেটি দারুণভাবে সফল হয়েছে। খেলোয়াড়, কোচদের পাশাপাশি নির্বাচক হিসেবে তারাও উপকৃত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।
বাশার বলেন, ‘এই ক্যাম্পটা খেলোয়াড়দেরতো সাহায্য করছে অবশ্যই, তারা নিজেদেরকে ঠিকভাবে প্রস্তুত করতে পারছেন। একই সাথে আমরা যারা নির্বাচক আছি আমাদের জন্যও বড় সুবিধা হবে। আমরা যখন আমাদের গ্রুপের বাইরে থেকে কাউকে নিতে চাচ্ছি তখন তাদের কিন্তু প্রস্তুত অবস্থায় পাচ্ছি। এই বাংলাদেশ টাইগার্সের মূল উদ্দেশ্যটাই এটা। সবার জন্য সহায়ক হচ্ছে, খেলোয়াড় একই সাথে নির্বাচকদের জন্যও।’
‘যেহেতু সামনে আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সেহেতু এবারের ক্যাম্পটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় কেমন কন্ডিশন আমরা মোকাবেলা করতে পারি সেটার উপর ভিত্তি করে। বগুড়ার উইকেট আমরা জানি পেস বান্ধব, এখানে উইকেটে কিছুটা বাড়তি পেস ও বাউন্স থাকে। কিউরেটরকে সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যতটা সম্ভব…দক্ষিণ আফ্রিকার মতো তো আর তৈরি করা সম্ভব না। কিন্তু যতটুক সম্ভব পেস বান্ধব করে গড়ে তোলা। তো সেটা তারা করতে পেরেছেন।’
‘আমি খেলোয়াড় ও অফিশিয়াল যারা আছেন এখানে তাদের সবার সাথে কথা বলেছি। নির্দিষ্ট করে কোচরা বেশ খুশি। তারা সবাই বলেছেন খুব ভালো স্পোর্টিং উইকেট ছিল। খেলোয়াড়েরা ভালো অনুশীলন করতে পেরেছেন। তো আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে বগুড়াতে এসেছিলাম সেটা আমার মনে হয় পুরোপুরি সফল হয়েছে।’