
© ICC via Getty Images

বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু পথ হারিয়ে মুহূর্তেই সব যেন এলোমেলো হয়ে যায়; বোলারদের বলে নেই কোন ধার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক নিগার সুলতানা বললেন, বৃষ্টিময় আবহাওয়ার কারণেই কোন প্রকার প্রতিরোধ করতে পারেনি বোলাররা।
বৃষ্টির কারণে ইনিংস নেমে আসে ২৭ ওভারে। আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ৮টি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৪০ রান। লড়াই করার মতো পুঁজি থাকলেও কোন প্রকার লড়াই যেন এদিন করতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। ৪২ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে বিশাল জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক নিগার সুলতানা এমনভাবে ম্যাচ হারের কারণ দেখিয়ে দুষলেন ডানেডিনের বৃষ্টি ও আবহাওয়াকে,
‘সংগ্রহ যা ছিল বোর্ডে, তা খুবই ভালো ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে চিত্র পুরো ভিন্ন ছিল। বৃষ্টি ছিল অনেক বেশি ও আবহাওয়ার অবস্থা খেলার উপযুক্ত ছিল না। তবু আমরা খেলেছি। বোলাররা গ্রিপ করতে সমস্যা অনুভব করেছে। আউটফিল্ডে যারা ফিল্ডিং করেছে, এত বৃষ্টি হচ্ছিল যে বল দেখতেও কষ্ট হচ্ছিল।’
‘এখন আপনারা বলতে পারেন যে এটা অজুহাত, কারণ প্রথম ইনিংসেও বৃষ্টি ছিল। কিন্তু আসলে তা নয়। প্রথম ইনিংসে বৃষ্টির জোর এত ছিল না, আমাদের ব্যাটিংয়ে সময় কন্ডিশন তুলনামূলক ভালো ছিল। আমাদের বোলিং-ফিল্ডিংয়ের সময় বৃষ্টি অনেক ভারী ছিল। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা আমাদের ভাবতে হবে। বিশ্বকাপের পরও অনেক খেলা আছে আমাদের।’
বৃষ্টি শেষে আউটফিল্ডের অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়ে যান অধিনায়ক। নিরাপদে থেকে কোনমতে ম্যাচটা শেষ করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ,
‘ফিল্ডারদের নিরাপদে ম্যাচ শেষ করা নিয়ে দুর্ভাবনায় ছিলাম আমি। কারণ আরও ৫টি ম্যাচ বাকি আছে। আমার খেলোয়াড়রা যদি নিরাপদ থাকে, তাহলেই বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারব। লড়াইটা করব যাদের নিয়ে, তাদের নিরাপত্তা আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বোলিং, ফিল্ডিং করতে রীতিমতো বড় সমস্যায় যেন হচ্ছিল টাইগ্রেসদের। কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ারদের কাছে আউটফিল্ড নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েও লাভ হয়নি; দাবি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
‘মাঠে যখন ছিলাম, আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে এই কন্ডিশনে খেলা চালিয়ে যাব কিনা। তারা বারবার বলছিলেন যে, ‘চালিয়ে যান।’ সেক্ষেত্রে মাঠে আমার আর বেশি কিছু করার থাকে না। কিন্তু মাঠের বাইরে অবশ্যই যতটুকু কাজ করা যায়, কথা বলে ম্যাচ রেফারিকে জানাব যে কন্ডিশন এরকম ছিল বা পরের ম্যাচে কী কী করলে ভালো হবে।’