ক্যাচ মিসের দায় ক্রিকেটারদের দিলেন ডমিঙ্গো-পাপন

নাসুম-লিটনের দিনে বাংলাদেশের বড় জয়
Vinkmag ad

ক্যাচ মিস ইস্যুতে কিছুতেই যেন সমাধান পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বিদেশী ভালো মানের কোচের পর আস্থা রাখা হয়েছে দেশী কোচে, তবুও ফল একই রকম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি হাতের ক্যাচ ছেড়ে সমালোচিত হচ্ছে ক্রিকেটাররা। ক্যাচ মিস ইস্যুতে অবশ্য প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দায় দিলেন ক্রিকেটারদেরই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের পিচ্চিল হাত ফসকে মিস হয়েছে বেশ কিছু সহজ ক্যাচ। এর বাইরে প্রায় সব সিরিজেই আমন কান্ড নতুন কিছু নয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে যা ছিল উল্লেখযোগ্য।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১টি ক্যাচ হাত ফসকেছে মাহমুদউল্লাহর হাত থেকে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাসকিন-সাকিবের বলে ১টি করে ২টি আর তৃতীয় ম্যাচে এক শরিফুলের বলেই ক্যাচ মিস হয় দুটি। প্রথম ওয়ানডের মতো মাহমুদউল্লাহ তৃতীয়টিতেও ক্যাচ ফেলেন।

আর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের বলে একটি ও শেখ মেহেদী হাসানের বলে একটিসহ দুটি ক্যাচ মিস হয়েছে। আর শেষ টি-টোয়েন্টিতে একেবারে তিনটি!

বাংলাদেশের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের তৃতীয় বলে হজরতউল্লাহ জাজাই স্লগ সুইপ করতে চেয়েছেন। কিন্তু ব্যাটে ঠিকঠাক লাগেনি, বোলারের মাথার উপর দিয়ে বল উঠে যায় আকাশে। নাসুম এই সহজ ক্যাচটিও তালুববন্দি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত এই জাজাই ম্যাচসেরা!

ইনিংসের শুরুতে যেমন, শেষেও তেমন। মেহেদী হাসানের পরপর দুই ওভারে উসমান গণির ক্যাচ পড়েছে দুটি, একই জায়গা ডিপ স্কয়ার লেগে। একবার আফিফ হোসেন আরেকবার মোহাম্মদ নাঈম। এই এক ম্যাচেই বাংলাদেশ সহজ ক্যাচ ফেলেছে তিনটি। আরও একটি হাফ চান্স ছিল; এটিকেও ক্যাচ বানানো যেত!

আজ (৫ মার্চ) ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারা ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন,

‘শেষ ৫ ম্যাচে আমরা ৯ টি ক্যাচ ছেড়েছি। যদি আমরা জানতাম এটা কি, তাহলে সম্ভবত আমরা এটা করতাম না। সেটা হতে পারে মনোযোগ, আত্মবিশ্বাস কিংবা চাপের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার। আমি শতভাগ নিশ্চিত না।’

‘আমাদের কেবল নিশ্চিত করতে হবে আমরা উন্নতির চেষ্টা করতেছি। আমরা মাঠে অনেক ভুল করেছি যার মাশুল গুনতে হয়েছে আমাদের। এটা বিশ্বকাপে আমাদের ভুগিয়েছে, এখানে ভুগিয়েছে এমনকি টেস্ট ম্যাচেও। বলতেই হয় অনেক ক্যাচ মিস করেছি আমরা। আপনি কেবল অনুশীলনে ড্রিল করাতে পারেন কিন্তু মাঠে ক্রিকেটারদেরই ক্যাচ ধরতে হবে। এটাই শেষ কথা।’

বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান রায়ান কুক। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর তার সাথে আর চুক্তি নবায়ণ করেনি বিসিবি। দেশী মিজানুর রহমান বাবুল দায়িত্ব পালন করেন পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে দায়িত্ব দেওয়া হয় টাইগারদের আরেক সাবেক ব্যাটসম্যান রাজিন সালেহকে।

আজ ম্যাচ শেষে সাঙ্গাব্দিকদের সাথে আলাপে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও ক্রিকেটারদের ক্যাচ মিসের দায় দেননি কোচ কিংবা ম্যানেজমেন্টকে,

‘ফিল্ডিং কোচ বিদেশ থেকে আনা হল, আমার জানা মতে ফিল্ডিং কোচ বেশ ভালো ছিল। সবাই মনে করলো ফিল্ডিং কোচ বদল হওয়া দরকার। দেশী কোচ হলে ভালো হয়, আমরা দেশী কোচ নিলাম।’

‘সুতরাং সমস্যা হওয়ার কথা না, আমিতো দেখিনা। একটা সহজ ক্যাচ একজন ক্রিকেটার ধরতে পারবে এটা তার কাছ থেকে সবাই আশা করে। এখন সে মিস করলে এটার জন্য কোচ, ম্যানেজমেন্টকে জড়ানো অযৌক্তিক আমি মনে করি।’

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

ডোমিঙ্গোর জিততে চাওয়া সিরিজটিতেই টাইগারদের ভরাডুবি

Read Next

বাংলাদেশের নতুন ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট

Total
0
Share