

আগের ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নেওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল সিরিজ জয়। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ (৫ মার্চ) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ যে সংগ্রহ পেয়েছে তাতে জয়ের আশা করা কঠিনই। মুশফিকুর রহিমের শততম টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটেই এসেছে সর্বোচ্চ ৩০ রান। দল পেয়েছে মাত্র ১১৫ রানের পুঁজি।
২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুই অস্ট্রেলিইয়া কিংবদন্তী রড মার্শ ও শেন ওয়ার্নের চির বিদায়ের শোক নিয়ে মাঠে নামে দুই দল। মার্শ-ওয়ার্ন স্মরণে পালন করা হয় ম্যাচ শুরুর আগে নিরবতাও।
আগের ম্যাচে চোটের কারণে একাদশে না থাকা মুশফিকই একমাত্র পরিবর্তন স্বাগতিকদের। তাকে সুযোগ দিতে বাদ পড়েন আগের ম্যাচেই অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলি রাব্বি।
নাইম শেখের সাথে মুনিম শাহরিয়ারের উদ্বোধনী জুটি টিকেছে কেবল ১.৪ ওভার। পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর মিশনে নামা মুনিম শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। তবে ফজলহক ফারুকীর করা ইনিংসের প্রথম ওভারে পরাস্ত হয়েছেন বেশ কয়েকবার, মোহাম্মদ নবির করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অবশ্য সাঝঘরের পথ ধরতে হয়। ১০ বলে একমাত বাউন্ডারিতে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি।
আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের জন্য যথেষ্ট পুঁজি এনে দেওয়া লিটন দাস এদিন হয়েছেন ব্যর্থ, তার ব্যাটে আসেনি ১০ বলে ১৩ রানের বেশি। আরও একবার ধীর গতির ব্যাটিং উপহার দিয়ে রান আউটে কাটা পড়া নাইম শেখ সমান ১৩ রান করেন ১৯ বল খেলে। ১৫ বলে ৯ রানের টি-টোয়েন্টি বিরুদ্ধ ইনিংস সাকিবের ব্যাটেও। ৪৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তবে প্রথম ম্যাচে চোটের কারণে বিশ্রামে থাকা মুশফিকুর রহিম খেলতে নেমেছেন দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তার আগে এই কীর্তি ছিল কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
দলের বিপর্যয়ে হালও ধরেন এ দুজনে, জপঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ৪৩ রান। অধিনায়ক রিয়াদের ব্যাটে ছিল রান তোলার তাড়া, রাশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে তার ব্যাটে ১৪ বলে ৩ চারে ২১ রান।
শততম ম্যাচ রাঙানোর দারুণ উপলক্ষ্য পেয়েও ব্যর্থ হন মুশফিক। ২৫ বলে ৪ চারে তার ব্যাটে সর্বোচ্চ ৩০ রান। ফজলহক ফারুকীর বলে মোহাম্মদ নবিকে ক্যাচ দিলে ৬ উইকেটে ৯৯ রানে পরিণত হয় টাইগাররা। ততক্ষণে লড়াই করার মতো পুঁজি পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।
শেখ মেহেদী হাসান (০), আফিফ হোসেনরাও (৭) দলের প্রয়োজনে খেলতে পারেননি কার্যকর কোনো ইনিংস। তাতেই শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১১৫ রানেই থামতে হয় বাংলাদেশকে। ৪ ওভারে আ৮ রান খরচায় ফারুকীর শিকার সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।