

করোনা থাবা পেছনে ফেলে দুই বছর পর বাংলাদেশের মাঠে পূর্ণ গ্যালারিতে ফিরছে দর্শক। এর আগেও বাংলাদেশের মাঠে দর্শক ছিল, তবে সেটি নির্দিষ্ট শতাংশে।
২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে সর্বশেষ গ্যালারির শতভাগ দর্শক অনুমোদন ছিল। এরপর করোনা প্রভাব পেছনে ফেলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরে।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐ সিরিজে ছিল না কোনো দর্শক। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ থাকলেও ছিল না দর্শক।
বাংলাদেশের মাটিতে দর্শক অনুমোদন পায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে। তবে সেটি ছিল কেবল গ্যালারির অর্ধেক সংখ্যক দর্শকের জন্য।
এমনকি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গ্রুপ পর্বেও ছিল না দর্শক। তবে প্লে-অফ ও ফাইনালে ছিল দর্শক। যদিও সেটি একদম স্বল্প সংখ্যক, তাও কেবল ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা পেয়েছিল সেসব টিকিট।
আফিগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও অর্ধেক দর্শক অনুমোদন পায়। তবে সুযোগ থাকলেও মাঝপথে টিকিট সংখ্যা বাড়ানো যায়নি।
কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঢাকায় ফেরার পরই পূর্ণাঙ্গ গ্যালারি অনুমোদন পেল। ফলে ৩ ও ৫ মার্চ মাঠে গড়াতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভরা গ্যালারি দেখা যাবে দুই বছর পর।
আগামীকাল প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে টিকিট কিনতে আগ্রহী দর্শকদের ছিল উপচে পড়া ভীড়।
আজ সকাল ৯টা থেকে প্রথম টি-টোয়েন্টির টিকিট ছাড়া হয়। কাল বিকেল ৩টায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে এই ম্যাচটি। সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা মূল্যের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ৯টা থেকে টিকিট দেওয়া হলেও ভোর থেকেই শুরু হয় দর্শকদের আনাগোণা। ৬টা না বাজতেই লাইনে দাঁড়িয়ে যান তারা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু দীর্ঘই হচ্ছে লাইন।
দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ডিউটি ৬টা থেকে ছিল। এসেই দেখি লাইন। এখন ভিড় বাড়ছে। তবে টিকিট সরবরাহ থাকায় ঝামেলা হচ্ছে না। পরিস্থিতি শান্ত আছে।’
মেহেরপুরের ৮ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ের জন্য অবস্থান করছেন ঢাকায়। বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখার জন্য দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়ে তাদের খুশি যেন থামছেই না।
টিকিট নিয়ে উল্লাসের সময় এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মেহেরপুর থেকে এসেছি কোচিংয়ের জন্য। টিকিট নিতে পেতে আমরা খুব খুশি। আশা করি কাল ভালো একটা খেলা উপভোগ করতে পারবো।’
যদিও বেলা বাড়তেই শেষ হয়ে যায় ১০০ টাকার টিকিট। লাইনে যারা দাঁড়িয়ে আছেন তারা পাচ্ছেন ১৫০ থেকে এর বেশি মূল্যের টিকিট পাচ্ছে।
লাইনে দাঁড়ানো এক দর্শক বলেন, আমরা ৩ জন এসেছি ১০০ টাকার টিকিটের জন্য। কিন্তু আমার সামনের অনেকেই এই টিকিট পায়নি। এখন আর কী করার, যেটা পাই সেটাই নেব।’