

জনপ্রিয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইয়ামাহা’র বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসান। এমনিতে সাকিবকে খুব বেশি মোটরসাইকেল চালাতে না দেখা গেলেও মোটরসাইকেল চালানো সাকিবের পছন্দের এক কাজ। নিজের সংগ্রহে আছে একাধিক মোটরসাইকেল, জানিয়েছেন নিজের পছন্দের মোটরসাইকেলের নামও।
ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব আল হাসান। সেখানে তিনি জানান বাইক চালানোর কথা।
সাকিব বলেন, ‘আমি যখন চালাই (বাইক) তখন তো আপনারা থাকেন না (হাসি), থাকলে দেখতে পারতেন। আর নরমালি বাইক বেশি চালানো হয় মাগুরাতে (সাকিবের গ্রামের বাড়ি)। কারণ মাগুরাতে একটু নিরিবিলি চালাতে পারি, ফ্রেন্ডদের সাথে যেহেতু স্পেন্ড করি ঐ সময়টা, তো মাগুরাতে চালানো হয়। ঢাকাতে খুব একটা চালানো হয় না। তবে রাতে, বেশ রাত করে যখন রাস্তা ফাকা থাকে তখন মাঝে মাঝে যদি ইচ্ছা হয় তখন চালাই।’
সাকিবের সংগ্রহে আছে ৫ টি বাইক ও ৫ টি স্কুটি। তবে সাকিবের সবচেয়ে পছন্দের এমটি ১৫।
‘আমার সংগ্রহে আছে আর ওয়ান ফাইভ ভার্সন থ্রি, সালুটু আছে ভার্সন থ্রি, এক্সেসার আছে ভার্সন টু, এফ জেড ভি টু আছে থ্রিও আছে। স্কুটি আছে পাঁচটা, আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে এমটি ১৫।’
সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। যেখানে বাইকের দুর্ঘটনার সংখ্যাই বেশি। সবাইকে বাইক চালানোর সময় নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করলেন সাকিব।
সাকিব বলেন, ‘বাইকে সিকিউরিটি টা মেইনটেইন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু একটু হলেও তো রিস্ক থাকে বাইকে। সবাই যেনো হেলমেট পরে, সেফটির জন্য যেসব পরতে হয় যেনো পরে। বিশেষ করে হাটু, অ্যাংকেল ও কনুইয়ের জন্য। হেলমেটের কথা আগেই বললাম, কোন বিকল্প নাই। বাংলাদেশ সরকার ও এটা নিয়ে খুব স্ট্রিক্ট। ব্যক্তিগতভাবেও এটা মেনে চলা জরুরি। অনেকে আবার খুব তাড়াহুড়া করে, তো সেটা যেনো না করি। নিজের সেফটি যেনো দেখি, অন্যদের টাও দেখি।’