

জাতীয় দলের বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও আগে। তবে সবকিছু গুছিয়ে নিতে বাড়তি সময় নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু থাকছেন কীনা নির্বাচক প্যানেলে সেটিই মূল প্রশ্ন। এ নিয়ে জল ঘোলা হয়ে আসছে অনেকদিন ধরেই। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলছেন মার্চেই চূড়ান্ত হচ্ছে সব। মার্চের শুরুতেই অবশ্য জানা যাবে এবারের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের নাম।
মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলের বর্তমান সহযোগী দুই সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক। বাশার লম্বা সময় ধরেই নান্নুর সাথে কাজ করে আসছেন আর তৃতীয় নির্বাচক হিসেবে গত বছরই নিয়োগ পান রাজ্জাক।
গত বছ অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত টি-তোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্তই ছিল তাদের মেয়াদ। তবে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও সবকিছু প্রকিয়া অনুযায়ী গুছিয়ে নিতে সময় নেয় বিসিবি। মাঝে বেশ জোর গুঞ্জন উঠেছিল নান্নুকে সরিয়ে দেওয়ার। টানা দুই মেয়াদে প্রধান নির্বাচক ও সব মিলিয়ে এক যুগ নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।
তবে এবার নতুন আভাস হয়তো টিকেই যাচ্ছেন নান্নু। যদিও আজ (২৮ ফেব্রুয়ারী) চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালীন সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপে জালাল ইউনুস বলছেন মার্চেই নির্বাচক প্যানেল চূড়ান্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে আমি বলি নাই (নির্বাচকদের)। আগে জাতীয় নির্বাচক কমিটি নিশ্চিত করি এরপর চুক্তির মেয়াদ বাড়াবো। মার্চ মাসের মধ্যেই আমরা এগুলো নিশ্চিত করে ফেলবো। মার্চ মাসের মধ্যে নির্বাচক কমিটি, কোচরা যারা আছে তাদের ব্যাপারে জানতে পারবেন।’
এদিকে গত সেপ্টেম্বরে মে-ডিসেম্বর মাসের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করে বিসিবি। যার মেয়াদ শেষ হয়ে দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করেনি দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। জালাল ইউনুস বলছেন কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকাও প্রকাশ হবে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে।
বেতন কাঠামো বাড়বে কীনা সে ব্যাপারেও দিয়েছেন ধারণা, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তিও দুইদিনের মধ্যে জানতে পারবেন। কে কোন ফরম্যাটে খেলবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বেতন তো আমি আসার আগে শুনেছি যে ৫-৬ মাস আগে বেড়েছে। পারফরম্যান্স অনুযায়ী গত বছর থেকে কিছু বেতন বাড়ছে। ম্যাচ ফিও আগে যেমনটা বাড়ানো হয়েছিল ওইটাই। কিন্তু পারফরম্যান্স বা অভিজ্ঞতা ধরা হয়েছে সবকিছু মিলিয়ে কিছু বাড়তি তো আছেই। আগের থেকে টেস্টেও ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে।’