

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া বাংলাদেশ আগামীকাল (২৮ ফেব্রুয়ারী) আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে। হোয়াইট ওয়াশের সুবর্ন সুযোগ হাতছানি দিয়ে ডাকছে টাইগারদের। তবে হোয়াইট ওয়াশের চেয়ে প্রতিটি জয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের ১০ পয়েন্ট অর্জন হওয়াকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে টিম বাংলাদেশ।
সিরিজ শুরুর আগে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ে যা এখন ১০০। প্রথম দল হিসেবে বাংলাদেশই অর্জন করেছে ১০০ পয়েন্ট, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৯৫। আগামীকাল জিতে ইংল্যান্ডের সাথে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
আগামীকাল সকাল ১১ টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচও একই ভেন্যু ও সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তৃতীয় ওয়ানডের আগে দুই দলই পেয়েছে দুইদিনের বিরতি। দুইদিনই ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। গতকাল প্রথম দিন ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের মুনিম শাহরিয়ার, নাইম শেখ সহ ওয়ানডে স্কোয়াডের গুটি কয়েক ক্রিকেটার।
তবে আজ (২৭ ফেব্রুয়ারী) ঐচ্ছিক অনুশীলনে যোগ দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম সহ বেশিরভাগ ক্রিকেটারই। বিশ্রামে ছিলেন সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, লিটন দাসরা। মাঠে আসলেও কোনো অনুশীলন করেননি মুস্তাফিজুর রহমান।
আজ অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মিরাজ জানালেন দল হিসেবে তৃতীয় ওয়ানডেতে তারা পুরোদমের প্রস্তুতি নিয়েই নামছেন। সিরিজ জিতলেও মূলত ওয়ানডে সুপার লিগের ১০ পয়েন্ট অর্জনে কোনোভাবে ছাড় দিতে রাজি নয় টাইগাররা।
মিরাজ বলেন,
‘যেটা বললেন, সিরিজ জিতলে ব্যাক অব মাইন্ড যেটা থাকে…সিরিজ জেতার চেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ হচ্ছে ১০ পয়েন্ট। বিশ্বকাপে কিন্তু টপ আটটা দলই কোয়ালিফাই হবে। সিরিজ জিতেছি খুব ভালো কথা। আমাদের পরবর্তী টার্গেট একটা ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নিতে পারলে অনেক ভালো হবে।’
‘সামনে হয়তো অনেক ভালো ভালো সুযোগ আসবে। হয়তো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। কিন্তু আমি মনে করি এই ১০ পয়েন্ট যদি নিতে পারি তখন আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে সামনের চ্যালেঞ্জগুলো।’
সিরিজ নিশ্চিত হলেও কোনো সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা নেই স্বাগতিকদের। এমন ভাবনাকে নেতিবাচক হিসেবেই দেখেন মিরাজ।
তার মতে,
‘ওরকম কোনো কথা হয়নি (সিনিয়রদের বিশ্রাম)। যেটা বললেন, সেটা নেতিবাচক ভাবনা। নেতিবাচক চিন্তা করছি না। ইতিবাচক চিন্তা করছি। কালকের ম্যাচটা আছে। আমরা চেষ্টা করবো শতভাগ অ্যাফোর্ট দিয়ে খেলার জন্য এবং আমাদের জন্য ১০ পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছাড়াও বাংলাদেশ চলতি সিরিজে ভালো করছে। মিরাজ বলছেন সিনিয়রদের চাওয়া জুনিয়র ও অনভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা যেন পারফর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। তাতে দলের সাফল্যে কাজটা সহজ হয়ে যায়।
মিরাজ বলেন,
‘অবশ্যই সিনিয়ররা আমাদের ব্যাকআপ করে, কথা বলে। উনারা চায় আমরা জুনিয়ররা যেন পারফর্ম করি। তাহলে ওনাদের কাজ সহজ হয়। আমরা জুনিয়ররা পারফর্ম করলে দলের রেজাল্টের ব্যাপারটা ভালো হয়। তারা সব সময়ই ভালো খেলেছেন ভালো করবেন।’
‘আমরাও যদি তাদের সঙ্গে ভালো খেলতে পারি তাহলে দলের জন্য ভালো হবে। দেখেন আমি, লিটন, মুস্তাফিজ প্রায় ৫-৬ বছর খেলে ফেলেছি, কিছু অভিজ্ঞতা তো হয়েছে। চেষ্টা করবো যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য।’
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ইয়াসির আলি রাব্বি, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান সম্ভাব্য একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নাবি, রাশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফারিদ আহমেদ মালিক, ফজল হক ফারুকী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।