

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামীকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) মাঠে গড়াবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ দলের আজ (২৭ ফেব্রুয়ারী) ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামরা এ দিন ছিলেন না অনুশীলনে। তবে মাঠে এসেও লোক চক্ষুর আড়ালে মুস্তাফিজুর রহমান। মাঠে এসে ফিটনেস কিংবা স্কিল কোনো অনুশীলনেই শরীক হননি, এমনকি তার উপস্থিতি টের পায়নি অনেকেই।
মূলত ঐচ্ছিক অনুশীলন বলে একটু চনমনে থাকতেই নিজেকে অনুশীলন থেকে দূরে রাখা। তবে চাইলেই মুস্তাফিজ সাকিব-লিটনদের মতো করে হোটেলেই সময় কাটাতে পারতেন। কিন্তু হোটেলে বন্দী সময় ভালো লাগতো না বলে এসেছেন সতীর্থদের অনুশীলন দেখতে।
বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের পুরো সময়টাই মুস্তাফিজ কাটিয়েছেন মাঠের এক কোণে বসে কিংবা ডাগ আউটে সতীর্থ ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের সাথে আড্ডা দিয়ে। চোট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা আছে কীনা জানতে যোগাযোগ করা হলে ফিজিও নিশিচত করেন সবকিছু ঠিকঠাকই আছে।
‘ক্রিকেট৯৭‘ কে ফিজিও বায়েজীদ ইসলাম বলেন, ‘নাহ, কোনো সমস্যা নেই। আজ তো ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল, কয়েকজন আসেনি। মুস্তাফিজ এসেছে কিন্তু অনুশীলন করেনি, এটাতো বাধ্যতামূলক ছিল না।’
মাঠে তাকে ভালো সময় সঙ্গ দেওয়া ফিল্ডিং কোচ রাজিন সালেহ জানিয়েছেন মুস্তাফিজ হোটেলে একা একা বিরক্ত না হয়ে মাঠে এসেছেন মন ফুরফুরে রাখতে।
এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ মাঠে এসেছে কিন্তু অনুশীলন তো ঐচ্ছিক ছিল। সে আসলে অনুশীলনের জন্য আসেনি, হোটেল রুমে কতক্ষণ একা থাকা যায়? রুম বন্দী সময়টা হয়তো খারাপ লাগবে দেখে দলের সাথে মাঠে এসেছে।’
সকাল ১০ টায় ২০ মিনিটের দিকে মাঠে আসে বাংলাদেশ দল। একে একে সব ক্রিকেটারকে দেখা গেলেও বাদ ছিলেন সাকিব, লিটন, শরিফুল, তাসকিন। শুরুতেই সেন্টার উইকেট দেখতে যান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও মুশফিকুর রহিম।
ক্রিকেটাররা যখন অনুশীলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন রাসেল ডোমিঙ্গো, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স নিজেদের মধ্যে আলাপ করেন বেশ লম্বা সময় ধরে। স্কোয়াডে না থাকা লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের সাথে কিছুক্ষণ আলাদা করে কথা বলতে দেখা যায় স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে।
ততক্ষণে বাকি ক্রিকেটাররা শুরু করেছেন মাঠের পূর্ব পাশে ফুটবল খেলা। তবে তখন ডাগ আউট থেকে সামান্য দূরত্বে দাঁড়িয়ে হেড অব ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স নিক লির সাথে আলাপে ব্যস্ত মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। এই তিন পেসারের সাথে নিক লি’র এই আলাপ চলে অন্তত মিনিট দশেক। মাঝে সেখানে যোগ দেন খালেদ মাহমুদ সুজনও।
এবাদত, শহিদুল এরপর অনুশীলনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও মুস্তাফিজ ঘাসের ওপর শুয়ে ছিলেন কিছুক্ষণ, এরপর বসে বসে দেখতে থাকেন অনুশীলন। তখনো বোঝা যাচ্ছিল না তিনি অনুশীলন করবেন কীনা। এভাবে প্রায় দেড় ঘন্টার মতো কেটে যায় ফেরেন ডাগ আউটে।
পাশের নেট থেকে নিজেদের সেশন শেষে মুস্তাফিজের সাথে হাসি ঠাট্টায় মেতে থাকেন সতীর্থরা। ডাগ আউটে বসে খুনসুটিতে ব্যস্ত থাকা মুস্তাফিজের কাছে একটু পরপরই ছুটে আস্তে দেখা যায় ফিল্ডিং কোচ রাজিন সালেহকে। দলের অনুশীলন শেষে মুস্তাফিজ হোটেলে ফেরেন সতীর্থদের সাথেই।