

আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডে নারী বিশ্বকাপে অভিনব এক পন্থা অবলম্বন করার চিন্তাভাবনা করছে আইসিসি। বিশ্বকাপ চলাকালে করোনা মহামারীর সংক্রমণ বাড়লে দলে ১১ জনের পরিবর্তে ৯ জন খেলানোর পরিকল্পনা করছে তারা।
আইসিসির ইভেন্টস প্রধান ক্রিস টেটলি আজ এমন তথ্য দেন। ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফ থেকেও অতিরিক্ত ফিল্ডার ব্যবহার করার সুযোগ থাকছে।
‘যদি প্রয়োজন হয়, তবে ৯ জনের দল করে মাঠে খেলানো হতে পারে। ম্যানেজমেন্টে নারী সদস্য থাকলেও তাকে অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে ২ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে অনুমতি দেওয়া হবে, যারা ব্যাটিং কিংবা বোলিং করতে পারবে না, শুধুমাত্র ফিল্ডিং করতে পারবে,’ বলেন টেটলি।
১৫ জনের স্কোয়াড ছাড়াও প্রতিটি দলকে তিনজন অতিরিক্ত রিজার্ভ খেলোয়াড়ের অনুমতি দিয়েছেন টেটলি। স্কোয়াডের কেউ কোভিড আক্রান্ত হলে রিজার্ভ খেলোয়াড় থেকে নেওয়া যাবে।
প্রয়োজনে খেলার সূচি নতুনভাবে করা হতে পারেও জানান টেটলি। যদিও পুরো টুর্নামেন্টে সরঞ্জামাদির স্বল্পতা রয়েছে।
”আমরা দলগুলোকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিবো এবং আমাদের সাধ্য অনুযায়ী তাদের প্রতি নমনীয় থাকবো। যেকোনভাবে হোক, আমরা খেলা ধরে রাখতে চাই,’ জানান টেটলি।
অমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ার পর নিউজিল্যান্ডে এখন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অত্যধিক বেড়েছে। আজকের তথ্য অনুযায়ী তাদের ছয় হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত এখন।
দেশটিতে এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা চলছে এবং খেলাধুলার ইভেন্টগুলোতে দর্শকের সংখ্যা অনেক কমানো হয়েছে। তবে টুর্নামেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্দ্রিয়া নেলসন কম সংখ্যক দর্শকের মাঝে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী।
‘সর্বোচ্চ সতর্কতার মাঝে আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। প্রথম সপ্তাহে কিছু ম্যাচের সম্ভাবনা রয়েছে,’ বলেন নেলসন।
‘দুর্ভাগ্যবশত কিছু ভেন্যুতে ম্যাচ বাতিল করতে হয়েছে আমাদের। এটা অবশ্যই আমরা করতে চাইনি। আমরা সর্বাত্নক পরিশ্রম করছি কত দর্শককে স্টেডিয়ামে খেলা দেখানোর চেষ্টা করানো যায়।’
৪ মার্চ মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হবে।