

আফগানিস্তানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য, অসাধারণ, রোমাঞ্চকর এক ম্যচ জিতে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ঘন্টাতেই হার নিশ্চিত ধরে নিয়েছিল বেশিরভাগই। তবে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের রেকর্ড গড়া জুটিতে এমন ম্যাচই জিতেছে টাইগাররা। শুরুতে বিশ্বাস না হলেও আফিফ-মিরাজের জুটি অনেক দূর এগিয়ে যেতেই বিশ্বাস জাগে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর মনে। আফিফের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও দিয়েছেন ব্যাখ্যা।
২১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ ৪৫ রানেই হারিয়েছে ৬ উইকেট। সেখান থেকে আফিফ-মিরাজের ১৭৪ রানের রেকর্ড জুটি। ৭ম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। আফিফ ৯৩ ও মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে। দল পেয়েছেন ৭ বল ও ৪ উইকেট হাতে রাখা জয়।
ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় জয়ের আশা কখন থেকে করেছেন কোচ ডোমিঙ্গো তা জানতে চাওয়া হয় আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় ওয়ানডে পূর্ববর্তী দিন সংবাদ সম্মেলনে।
তিনি বলেন, ‘যখন আর ৬০ রানের মত প্রয়োজন, তখন মনে হল জয়ের ভালো সুযোগ আছে কারণ মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে ছিল। তাদের বোলিং অপশন কমছিল। উইকেট ভালো ছিল। যখন ফ্লাডলাইটের কারণে খেলা বন্ধ হল তখন দুশ্চিন্তায় ছিলাম মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলি কি না।’
‘তার আগে ২-৩ ওভার আমরা খুব ভালো খেলেছি। আবার খেলা শুরু হওয়ার পর আফিফ একটু ছন্দ হারিয়েছিল। তবে পরিপক্বতা দেখিয়ে ম্যাচ বের করে এনেছে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে আফিফ নিয়মিত মিডল (৪ ও ৫ নম্বরে) অর্ডারে খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই সুযোগটা পাচ্ছেন না একদমই। খেলতে হচ্ছে লোয়ার মিডল অর্ডারে, গতকাল ম্যাচ জেতানো দুর্দান্ত ইনিংসটিও এসেছে ৭ নম্বরে নেমে। আফিফকে উপরের দিকে খেলাতে না পারার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডারে একজন উইকেটরক্ষক ও একজন ফ্রন্টলাইন স্পিনার আছে। তাই আফিফের জন্য ৭ নম্বর পারফেক্ট। সে ম্যাচ শেষ করে আসায় পারদর্শী। নতুন বলে তাকে আরও কাজ করতে হবে, এটা সেও জানে। তাই তাকে এখন ওপরে ওঠানো ঠিক হবে না। তার খেলার যে ধরন তাতে ৭ নম্বর পজিশনই এখন মানানসই। নিকট ভবিষ্যতে তাকে ওপরে খেলানো হবে না।’