

কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর মেয়াদেই সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অধিনায়কত্বের বিদায়ের পর বোলার হিসেবে আর সুযোগই পাননি। দেশের অন্যতম সফল অধিনায়ককে ডোমিঙ্গো অবশ্য এক কাপ কফির দাওয়াত দিবেন বলেছেন। কিন্তু সেই দাওয়াত এখনো পাননি বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক কারণে জানিয়েছেন মাশরাফি নিজেই। আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) সে প্রসঙ্গ উঠতে ডোমিঙ্গো জানালেন আপাতত এসব নিয়ে ভাবছেন না, তবে ‘হাই’ জানিয়ে গেলেন মাশরাফিকে।
মূলত কফির দাওয়াত ছিল রূপক অর্থে। অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো মাশরাফিকে ওয়ানডে দলে আর দেখা যাবে কীনা সেই আলোচনাই হয়তো হতে পারতো সেই আড্ডায়। কিন্তু ডোমিঙ্গোর মুখের কথাতেই আটকে আছে সেই কফির দাওয়াত।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পরই মাশরাফির বিদায় নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠে। কিন্তু মাশরাফি ও বিসিবির দোটানায় কিছুই ছিল না স্পষ্ট। তবে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়কত্ব ছেড়ে সে পথ কিছুটা পরিষ্কার করেন মাশরাফি নিজেই।
তবে খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানেননি, জানিয়েছেন পারফরম্যান্স আমলে নিয়ে নির্বাচকরা সুযোগ দিলে তিনি প্রস্তুত থাকবেন যেকোনো সময়। এ নিয়ে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সাথে আলাপ হয়েছে কীনা তা জানাতে গিয়ে কয়েক মাস আগে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাশরাফি জানান আলাপ আলোচনা পরের কথা, এক কাপ কফির দাওয়াত দিবে বলেও সেটি এখনো দেয়নি ডোমিঙ্গো।
মাশরাফি আর সুযোগ পাননি, তবে কেটে গেছে দুই বছর। অবশেষে সেই কফির দাওয়াত প্রসঙ্গে ডোমিঙ্গোকেও দিতে হল উত্তর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডোমিঙ্গো। মাশরাফি প্রসঙ্গে তার সোজা উত্তর স্কোয়াডের বাইরের কাউকে নিয়ে ভাবছেন না তিনি।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি আবারও বলবো এই মুহূর্তে আমি স্কোয়াডের বাইরে নেই এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে খুব একটা আগ্রহী না। যেমনটা আমি বললাম বাইরের কথা বার্তা, মানুষজন যা বলে সেসব আমার জীবনে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমার দলে, পরিবারে কিংবা আমার কাজের ক্ষেত্রেও।’
তবে সংবাদ সম্মেলন শেষে মাশরাফি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘মাশরাফিকে আমার পক্ষ থেকে হাই জানিও।’