

গ্রুপ পর্বে আধিপত্য বিস্তারের পর প্লে অফেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে ফাইনালে পৌঁছে গেল মুলতান সুলতান্স। রাইলি রুশো ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরির পর শাহনেওয়াজ দাহানির চমৎকার বোলিংয়ে ১ম কোয়ালিফায়ারে লাহোর কালান্দার্সকে ২৮ রানে হারিয়েছে তারা। বিফলে যায় ফখর জামানের লড়াকু ইনিংস।
টসে হেরেও প্রথমে ব্যাটিং পায় মুলতান। ২য় ওভারেই ইনফর্ম ওপেনার শান মাসুদকে হারায় তারা। তিনে নেমে আমের আজমত দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন। ২২ বলে ৩৩ রান করে আউট হন তিনি।
শ্লথ গতিতে শুরু থেকে ব্যাটিং করতে থাকা আরেক ওপেনার অধিনায়ক রিজওয়ান এরপর রাইলি রুশোর সাথে দলের জন্য কার্যকরী জুটি গড়ে তোলেন। এ জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে ১১৩ রান স্কোরবোর্ডে যুক্ত করে। মুলতান ২ উইকেটে ১৬৩ রানে নিজেদের ইনিংস শেষ করে।
রুশো ৪২ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে ৫১ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন রিজওয়ান।
লাহোরের পক্ষে মোহাম্মদ হাফিজ ও সামিত প্যাটেল ১টি করে উইকেট নেন।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মুলতানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে একমাত্র ফখর ছাড়া লাহোরের আর কোন ব্যাটসম্যান নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ফখর ৪৫ বলে ৬৩ রান করে আউট হলে লাহোরের জয়ের আশা নস্যাৎ হয়ে যায়।
৯ উইকেটে ১৩৫ রানে থামতে বাধ্য হয় লাহোর। ফখরের ৬৩ রান ছাড়াও কামরান গুলাম ২০ ও হ্যারি ব্রুক ১৩ রান করেন।
মুলতানের পক্ষে দাহানি ৩টি ও ডেভিড উইলি ২ উইকেট পান।
৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান শাহনেওয়াজ দাহানি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
মুলতান সুলতান্সঃ ১৬৩/২ (২০), মাসুদ ২, রিজওয়ান ৫৩*, আজমত ৩৩, রুশো ৬৫*; হাফিজ ৪-০-১৬-১, প্যাটেল ৪-০-৩১-১
লাহোর কালান্দার্সঃ ১৩৫/৯ (২০), ফখর ৬৩, শফিক ৫, গুলাম ২০, হাফিজ ০, ব্রুক ১৩, প্যাটেল ১১, সল্ট ১, ভিসা ৮, শাহীন আফ্রিদি ১, রউফ ৭*, জামান ০*; আসিফ ৪-০-২৩-১, উইলি ৩-০-২৩-২, রইস ৩-০-২৩-১, দাহানি ৪-০-১৯-৩
ফলাফলঃ মুলতান সুলতান্স ২৮ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ শাহনেওয়াজ দাহানি (মুলতান সুলতান্স)।