

বাংলাদেশের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ জয়ের শেষে প্রায় সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আর কথার ফাঁকে দেন ভেতরের অনেক তথ্যও। এই যেমন চট্টগ্রামে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক জয়ের দিনে তিনি বললেন একাদশে এই দুজনের থাকাও অনিশ্চিত ছিল।
২১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪৫ রানেই নেই ৬ উইকেট, অমন পরিস্থিতি থেকে আফিফ-মিরাজ ১৭৪ রানের রেকর্ড গড়া অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ৪ উইকেটের জয় এনে দেন। আফিফ ৯৩ ও মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে।
ম্যাচ শেষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। আর সেখানেই দুজনের একাদশে থাকা না থাকা ইস্যু উঠে আসে।
তিনি বলেন, ‘আমি এটা (আফিফ-মিরাজের অবদানে জয়) এখন নামার সময় বলছিলাম। পরশু দিনও কিন্তু এরা খেলবে যে এই জিনিসটা নিশ্চিত ছিল না। স্কোয়াডে এরা খেলবে কী না এটা কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। এখানে অন্য নামও ছিল। কিন্তু অপশন তো আমাদের আছে। তবে চিন্তা করছি যদি এরা না খেলতো কী হতো!’
এদিকে শুরুতে হারের দিকে এগোতে থাকা বাংলাদেশ যে জিততে পারে এমন বিশ্বাস ছিল না পাপনেরও মূলত আফিফ-মিরাজের জুটিতেই তার পাশে থাকা লোকজন স্বপ্ন দেখালেও তার বিশ্বাস তৈরি হচ্ছিল না। ।
পাপনের ভাষ্য, ‘সত্যি কথা বলতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। সবাই আমরা বলছিলাম ৫০ ওভার খেলতে পারলে আমরা জিতবো। আমি বার বার বলছিলাম এই দুইজন যদি খেলে যেতে পারে তাহলে আমরা জিতার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এটাও অলমোস্ট অসম্ভব মনে হচ্ছিল। যেভাবে আমাদের প্রথম ৬ উইকেট গেল মনে হচ্ছিল যে এদের বল খেলা যাচ্ছে না, খেলার মতো না।’
‘কিন্তু এরা (আফিফ-মিরাজ) এসে যে স্বাচ্ছন্দে খেলে গেলো কোনো ঝুঁকি না নিয়ে, কেবল পুরোদমে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। ওদের কখনোই মনে হয়নি ওরা নার্ভাস। অথচ প্রথম দিকে ওদের নার্ভাস বলব না দ্বিধাগ্রস্ত মনে হচ্ছিল। যে সমস্ত শট খেলেছে একটু ঘাবড়ে গেছিলাম। তবে যত সময় যাচ্ছিল ততবেশি ওই বিশ্বাসটা জোর হচ্ছিল যে ওরা থাকলে জিতে যাব, ওরা থাকলে জিতে যাব। তবে একটা অসম্ভব কাজ। অসাধারণ একটা ম্যাচ খেলেছে দুইজন, আফিফ-মিরাজ।’