

বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুই ভাই একসাথে জাতীয় দলে খেলার ঘটনা এখনো পর্যন্ত একটি। সেটি মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও নুরুল আবেদিন নান্নু। একই শহর চট্টগ্রামের আরেক ক্রিকেট পরিবার থেকেও দ্বিতীয় নজির দেখা যেতে পারতো। তবে ছোট ভাই তামিম ইকবালের অভিষেকের আগেই জাতীয় দল থেকে বড় ভাই নাফিস ইকবালের বাদ পরাতে সেটি আর হল না।
বেশ কয়েক বছর পর নাফিস জাতীয় দলের ম্যানেজার হয়ে কাজ করছেন বলে এক সাথে খেলা না হলেও তামিমের সাথে জাতীয় দলে একই পটভূমিতে কাজ করা হচ্ছে দুই ভাইয়ের। তবে জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম বলছেন পেশাদার জায়গায় সুযোগ নেই সম্পর্কের, দলের ম্যানেজার হিসেবেই বড় ভাই নাফিসকে সম্মান করেন তিনি।
১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা নাফিস ইকবাল বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন ২০০৬ সালে। যেখানে ছোট ভাই তামিম ইকবালের অভিষেক হয় ২০০৭ সালে। ফলে দুই ভাইয়ের একসাথে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করা সম্ভব হয়নি।
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে নাফিস কাজ করছেন কোচ ও ম্যানেজার হিসেবে। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পান। তবে ঐ সিরিজে তামিম না খেলাতে দুই ভাইয়ের এক সাথে কাজ করা হয়নি।
এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে সুযোগ হয়েছে কাজের। আপাতত টি-টোয়েন্টি থেকে দূরে আছেন বলে শুধু ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেই দেখা যাবে তামিমকে। সিরিজের সবকটি ম্যাচ আবার তামিম-নাফিসের শহর চট্টগ্রামে।
আগামীকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) মাঠে গড়াতে যাওয়া প্রথম ওয়ানডের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামে তামিম কথা বলেছেন দুই ভাইয়ের এক সাথে জাতীয় দলে কাজ করা নিয়ে।
তামিম বলেন, ‘দেখেন এটা এমন একটা জায়গা যেখানে আপনাকে বেশ পেশাদার হতে হবে। হ্যাঁ সে সম্পর্কে আমার ভাই কিন্তু যখন জাতীয় দলের হয়ে দুজনে কাজ করি তখন তাকে আমি ম্যানেজার হিসেবেই সম্মান করি। তাকেও খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে সম্মান করতে হয়। এটা পেশাদার জায়গা যেখানে সম্পর্ক আসে পরে, পেশাদারিত্ব আসে আগে।’