

পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে পেশোয়ার জালমি। শাহীন শাহ আফ্রিদির ব্যাটিং তাণ্ডবে পেশোয়ার জালমি ও লাহোর কালান্দার্সের মধ্যকার ম্যাচটি টাই হয়ে সুপার ওভার পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে ওয়াহাব রিয়াজের চতুর বোলিং ও শোয়েব মালিকের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে জয় ঠিকই ছিনিয়ে নিয়েছে পেশোয়ার।
২ দল আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করায় এ ম্যাচটি নিয়মরক্ষায় পরিণত হয়। পেশোয়ার প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান করে।
সর্বোচ্চ ৩২ রান শোয়েব মালিকের। হায়দার আলি ২৫ ও হযরতউল্লাহ জাজাই ২০ রান করেন।
লাহোরের পক্ষে ফাওয়াদ আহমেদ ২টি উইকেট নেন।
১৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওয়াহাব ও আরশাদ ইকবালের দারুণ বোলিংয়ে লাহোরের ব্যাটসম্যানরা কোনঠাসা হয়ে পড়ে। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের ভিত্তি মজবুত করছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। তবে তিনিও বিদায় নিলে জয়ের সুবাদ পেতে থাকে পেশোয়ার।
শেষ ওভারে লাহোরের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান, হাতে ১ উইকেট। মোহাম্মদ উমরের করা ঐ ওভারে শাহীন আফ্রিদি ১ চার ও ৩ ছক্কাসহ ২৩ রান নিলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। শাহীন আফ্রিদি ২০ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
পেশোয়ারের পক্ষে ওয়াহাব ও ইকবাল ২টি করে উইকেট পান।
সুপার ওভারে পেশোয়ারের ওয়াহাব রিয়াজ মাত্র ৫ রান দেন। এরপর ব্যাটিংয়ে পরপর ২ বলে ২ চার মেরে জয় নিজেদের দখলে নেন শোয়েব মালিক।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ওয়াহাব রিয়াজ।
১ম কোয়ালিফায়ারে মুলতান সুলতান্সের মুখোমুখি হবে লাহোর কালান্দার্স। অন্যদিকে ১ম এলিমিনেটরে পেশোয়ার জালমির মুখোমুখি হবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পেশোয়ার জালমিঃ ১৫৮/৭ (২০), হারিস ৬, জাজাই ২০, আকমল ১৮, হায়দার ২৫, শোয়েব ৩২, তালাত ১৭*, আমাদ ৯, ওয়াহাব ১, উসমান ১৯*; শাহীন আফ্রিদি ৪-০-৩৭-১, হারিস রউফ ৪-০-৩৬-১, হাফিজ ৩-০-১৬-১, ফাওয়াদ ৪-০-২৬-২, ভিসা ৩-০-২০-১
লাহোর কালান্দার্সঃ ১৫৮/৮ (২০), ফখর ০, সল্ট ১৪, গুলাম ২৫, হাফিজ ৪৯, ব্রুক ২, সোহেল ১৯, ভিসা ১, শাহীন আফ্রিদি ৩৯*, রউফ ০, ফাওয়াদ ০*; শোয়েব ১-০-৫-১, উসমান ৪-০-২৫-১, উমর ৪-০-৫৪-১, ইকবাল ৪-০-৩০-২, ওয়াহাব ৪-০-১৯-২, আমাদ ৩-০-২০-১
সুপার ওভারঃ
লাহোর কালান্দার্সঃ ৫/০ (১), ফখর ২*, ব্রুক ৩*; ওয়াহাব ১-০-৫-০
পেশোয়ার জালমিঃ ৮/০ (০.২), শোয়েব ৮*, হারিস ০*; শাহীন আফ্রিদি ০.২-০-৮-০
ফলাফলঃ পেশোয়ার জালমি সুপার ওভারে জয়ী।
ম্যাচ সেরাঃ ওয়াহাব রিয়াজ (পেশোয়ার জালমি)।