

অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের দলে সুযোগ পেলেন এবাদত হোসেন। নিজেও কিছুটা অবাক হওয়া এই পেসার বলছেন সিরিজে পেসাররা মিলে অন্তত এক-দুইটা ম্যাচ জেতাতে চান দলকে।
লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেবল টেস্টের জন্যই বিবেচিত হয়ে আসছিলেন এবাদত। তবে ঠিক আস্থার প্রতিদান দিতে পারছিলেন না সেভাবে, টেস্ট দলে জায়গা নিয়েও তৈরি হয় শঙ্কা।
এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জেতান এই পেসার। নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করে জায়গা করে নিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দলেও।
এবাদতের ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়াটা চমক বলতে হবে তার ঘরোয়া ক্রিকেটে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ সংখ্যা দেখলেও। ২০১৭ সালে অভিষেকের পর থেকে খেলেছেন মাত্র ১১ টি। সর্বশেষ ম্যাচটিও ২০২০ সালের ১৬ মার্চ।
ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ দল এখন চট্টগ্রামে। ২৩, ২৫ ও ২৮ মার্চ এখানেই যে গড়াবে সিরিজের ম্যাচ তিনটি। আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ছিল না কোনো অনুশীলন।
এক ভিডিও বার্তায় এবাদত জানান নিজের ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়ার অনুভূতি,
‘আসলে আলহামদুল্লিাহ প্রথমে যে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি। সারপ্রাইজড আসলে… প্রথম যখন শুনেছি যে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি, এটার জন্য আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমি ভালো করার চেষ্টা করব।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক এবাদত বলছেন আফগানদের বিপক্ষে অন্তত এক-দুইটি ম্যাচ জেতাতে চান টাইগারদের পেস বিভাগ।
তিনি বলেন,
‘আমরা ফাস্ট বোলাররা চেষ্টা করব, এখানে যে তিনটা ম্যাচ আছে, অন্তত একটা-দুইটা ম্যাচ জেতাব ইন শা আল্লাহ। আমি আশা করি যে, আমাদের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্ট খুব ভালো সময় যাচ্ছে আমাদের সবার। চেষ্টা করব আমরা ৩-০ ম্যাচে ডমিনেট করে থাকতে।’
সর্বশেষ বিপিএল খেলেছেন ৫ ম্যাচ, নিয়েছেন ৬ উইকেট। তবে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে খেলার সুবাধে সান্নিধ্য পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গে এবাদত বলেন,
‘আমি মাত্র লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছি ১১টা, আমি জানি। এই প্রথম সুযোগ পেয়েছি ওয়ানডে দলে। গত বিপিএলে আমাদের দলে তামিম ভাই, মাশরাফি ভাই ও রিয়াদ ভাই ছিলেন। অনেক সাপোর্ট পেয়েছি উনাদের কাছ থেকে। এখন আবার সাদা বলে অনুশীলন করছি। ভালো করার চেষ্টা করব।’