লালমাইয়ের পথে স্টিভ রোডসের একদিন

লালমাইয়ের পথে স্টিভ রোডসের একদিন
Vinkmag ad

বিপিএল দলগুলোর মাঝে এখনো একটা জায়গায় একমাত্র বলা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেটি হলো নিজস্ব একাডেমিতে শত শত ক্রিকেটার তৈরির কাজ করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কুমিল্লা জেলার লালমাইয়ে অবস্থিত একাডেমি পরিদর্শন করে এলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পরামর্শক হয়ে এবারের বিপিএলের কাজ করা বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ স্টিভ রোডস।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমি থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ জন ক্রিকেটার খেলছে প্রথম থেকে তৃতীয় বিভাগে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলার অপেক্ষায় ৩-৪ জন। পেসার মেহেদী হাসান তো খেলে ফেলেছে প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ সহ স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিও, এবার ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্কোয়াডেও।

সদ্য বিপিএলের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তাদের পরামর্শক স্টিভ রোডসকে দিন দুয়েক আগে ঘুরিয়ে আনেন একাডেমি থেকে। যেখানে কিশোর ও তরুণ ক্রিকেটারদের নানা ধরণের টোটকা দিয়েছেন এই ইংলিশ।

ক্রিকেটাররাও তাকে পেয়ে ঘন্টা চারেক সময় বেশ উপভোগ করেছেন। খুটিয়ে খুটিয়ে জিজ্ঞাসা করে নিজেদের জানার পিপাসা কিছুটা হলেও মিটিয়েছেন। ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস রেখে মাঠে নামার পরামর্শ দেন রোডস।

ভবিষ্যতেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে কাজ করার ইচ্ছে এই ইংলিশের। আর সেটি হলে একাডেমিরও লাভ বলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সহকারী কোচ আতিকুর রহমান।

এ প্রসঙ্গে ‘ক্রিকেট৯৭’ কে তিনি বলেন,

‘স্টিভ রোডসের মতো একজন কোচ আমাদের একাডেমি ঘুরে গেছেন এটা অনেক বড় ব্যাপার। উনি বিশ্বের সেরা কয়েকজন কোচের একজন। ছেলেরা দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিল উনাকে কাছে পেয়ে, ৩-৪ ঘন্টা সময় কাটিয়েছেন ছেলেদের সাথে। তাদের নানা ধরণের পরামর্শ দিয়েছেন, অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।’

‘ভবিষ্যতেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। আর সেটি হলেতো আমাদের একাডেমির সাথে কাজ করাই বলা যায়। অন্তত কিছু সময়তো উনি একাডেমিতে দিতেই পারবেন।’

বিপিএলে রোডসের সাথে কাজ করে আতিকুর নিজেও শিখেছেন অনেক কিছু। এমনকি লেভেল-১ সম্পন্ন করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমির এই প্রধান কোচকে লেভেল-২ কোর্স করার জন্য ইংল্যান্ডে যাওয়ার পরামর্শও দেন রোডস। তার দিক থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা পাবেন বলেও আশ্বস্ত করে যান।

আতিকুর এ প্রসঙ্গে যোগ করেন,

‘উনি আসলে শুধু ভালো কোচ নয়, ভালো মনে মানুষও। আচরণ এত নমনীয় বলে বুঝানো যাবে না। উনার মতো লোকের সাথে কাজ করে আমি নিজে শিখেছি অনেক কিছু। বিপিএলে সালাউদ্দিন স্যার (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন) ছিলেন রোডস ছিলেন। উনাদের কাছ থেকে আমি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’

‘আমিতো লেভেল-১ কোচিং কোর্স করেছি। রোডস আমাকে লেভেল-২ কোর্স করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। উনি বলেছেন আমি যেনো এটাকে গুরুত্ব সহকারে নিই এবং এ ক্ষেত্রে যেকোনো সাহায্য উনি করবেন সম্ভব হলে।’

স্টিভ রোডসের তৃণমূল ক্রিকেটে বিচরণ নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করার সময়ও ঘরোয়া ক্রিকেট দেখতে মুখিয়ে থাকতে। নিজ তাড়নায় চলে যেতেন বিকেএসপিতে (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) কোনো ম্যাচ হলেও।

নাজমুল হাসান তারেক

Read Previous

‘বাংলাদেশ’ বানান ভুল লিখে বাংলাদেশে আসলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ

Read Next

টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইট ওয়াশ হল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

Total
0
Share