

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত একটা টুর্নামেন্ট কাটালেন সাকিব, চতুর্থবারের মতো বিপিএলে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। তবে এবারের বিপিএলে তার দল ফরচুন বরিশালকে থাকতে হয়েছে রানার আপেই সন্তুষ্ট। সাকিব নিজে বলছেন টুর্নামেন্ট সেরার চেয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারাটাই তাকে বেশি আনন্দ দিত।
ব্যাট হাতে ১১ ম্যাচে ২৮৪ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৬ উইকেট, রান খরচেও ছিলেন বেশ কৃপণ। তার এমন পারফরম্যান্স দলকে ফাইনালে তুলতে রেখেছে দারুণ ভূমিকা। ফাইনালে অবশ্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে রোমাঞ্চকর ম্যাচে হারতে হয়েছে ১ রানে। নিজের টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার কিছুটা ম্লান দল চ্যাম্পিয়ন না হওয়াতে।
পুরষ্কার বিতরণীতে সাকিব বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে টুর্নামেন্টটা আমার জন্য বেশ ভালো ছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার চেয়ে ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারলেই আমার কাছে বেশি ভালো লাগতো।’
সুনীল নারাইনের ২৩ বলে সমান ৫ টি করে চার, ছক্কায় ৫৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের পরও মাঝে ছন্দ হারিয়ে ১৫১ রানের বেশি পুঁজি পায়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে সৈকত আলির ৩৪ বলে ১১ চার, ১ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংসের পরও একই দৃশ্য ফরচুন বরিশাল ইনিংসে ধ্বস। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানেই থামতে হয়েছে।
দুই দলই বল করেছে উল্লেখ করলেও সাকিব কৃতিত্ব দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে, ‘ক্রিকেটের জন্য দারুণ এক ম্যাচ ছিল, দুই দলই ভুল করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা নার্ভ ধরে রেখেছিলো। কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে। সৈকত আলি দারুণ এক ইনিংস খেলেছে। তার নিজের জন্য দারুণ একটা ম্যচ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা চূড়ান্ত ফল অর্জন করতে পারিনি।’
ব্যাট হাতে তান্ডব বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ২ উইকেট সুনীল নারাইনের। বিশেষ করে তার করা ইনিংসের ১৮তম ওভারকে বলা যায় ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮ রান, কিন্তু নারাইন ঐ ওভারে ২ রান খরচ করে নেন ডোয়াইন ব্রাভোর মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
নারাইনকে কৃতিত্ব দিয়ে সাকিব যোগ করেন, ‘সুনীলের অমন ইনিংসের পরও আমরা ভালোভাবে কামব্যাক করি। এই পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। টুর্নামেন্টজুড়েই তারা অসাধারণ শেষের ২-৩ ওভার বল করা অত সহজ না। ঐ ওভারের জন্য সুনীলকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। পরেরবার আমাদের আরও শক্তভাবে ফিরতে হবে।’