

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবারের বিপিএলেও কোয়ালিফায়ারে আটকে গেছে। তবে দলটির বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দিয়ে রেখেছেন বার্তা। জাতীয় দলের দরজাটা এখনই না খুললেও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ভবিষ্যতে ঠিকই বিবেচনায় আসতে পারেন। যখনই জাতীয় দলে সুযোগ আসুক এই পেসার নিজে অবশ্য ঠিক করে রেখেছেন লক্ষ্য।
যুব দলের হয়েই বল হাতে ঝলক দেখান মৃত্যুঞ্জয়। মাঝে চোটে পড়ে দীর্ঘদিন ছিলেন আড়ালে। শেষ পর্যন্ত আলো কাড়লেন ঠিক জায়গাতেই, বিপিএল মঞ্চে সুযোগ পেয়ে যেন মেলে ধরলেন নিজেকে।
৮ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৫ টি, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বিদায় নেওয়াতে আর উইকেট নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন তাতে ডেথ বোলিংয়ে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন।
এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকারির তালিকায় থেকে খেলেছেন সর্বনিম্ন ৮ ম্যাচ, ১০ ম্যাচ খেলা সাকিব আল হাসানের সমান ১৫ উইকেট নিয়ে আছেন যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে। দল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে এমন ম্যাচ শেষে গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে আসেন মৃত্যুঞ্জয়।
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ও নিজের লক্ষ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি চাই আমি যদি জাতীয় দলে কখনো খেলি, আমি যেনো এমন প্লেয়ার না হই এক-দুই ম্যাচ পরে হারিয়ে যাবো বা একটা সিরিজ পর হারায়া যাবো। আমার লক্ষ্য থাকবে প্রতিনিয়ত শেখা এবং দলকে ব্যাটিং, বোলিং হোক ফিল্ডিং যেকোনো দিক থেকে দলকে কোনো কিছু দেওয়া এবং দলের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা রেখে ক্যারিয়ার শেষ করা।’
‘আমি সবসময় বর্তমানে থাকতে পছন্দ করি। অনূর্ধ্ব-১৯ যখন খেলে আসছি আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ এ একটা মোটিভ সবসময় বিশ্বাস করতাম যে বর্তমানে থাকতে হবে। আমরা বর্তমানে যত সুন্দর করতে পারবো আমাদের ভবিষ্যত তত সুন্দর হবে। তো আমি বর্তমানে বিশ্বাসী, আমি বর্তমানে এখন যেটা দরকার, শৃঙ্খলা সেটা আমি মেনে চলার চেষ্টা করবো।’
বাঁহাতি এই পেসার বলছেন জাতীয় দলের স্বপ্ন দেখেন অন্য সবার মতোই। আর জাতীয় দলের স্বপ্ন নিয়ে এগোলেই কাজ করার তাড়না, আগ্রহ বাড়ে বলে মনে করে সাতক্ষীরা থেকে উঠে আসা মৃত্যুঞ্জয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘প্রত্যেকটা খেলোয়াড়েরই জাতীয় দলের লক্ষ্য থাকে এবং থাকা উচিৎ, এটার জন্য খেললে তার লক্ষ্য বাড়ে বা তার কাজ করার আগ্রহ বাড়ে। আমার অবশ্যই আছে, কিন্তু এটা পুরোপুরি নির্বাচকদের উপর। তারা যদি মনে করে আমি সামর্থ্য রাখি, আমাকে যদি দলে নেয় যেকোনো সময়, এই সিরিজ বা দুই বছর পরে হোক যখনই নিক।’
‘আমার যেনো সে সময় মানসিকতা থাকে যে আমি আজকে থেকেই খেলবো শতভাগ দিয়ে এবং শেখার চেষ্টা করবো। খেলোয়াড় যদি শিখতে না পারে বর্তমা ক্রিকেটে টিকে থাকতে পারবে না। তার শেখার এই প্রক্রিয়াটা অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। এটাই আমার লক্ষ্য।’