

আইপিএলে কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অনেকবারই ওপেন করেছেন সুনীল নারাইন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দলকে দারুণ শুরুও এনে দিতেন নিয়মিত। এবার বিপিএলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ওপেন করলেন, আর তাতে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে গড়লেন রেকর্ডও। তার ব্যাটে চড়ে সহজ জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে কুমিল্লা, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলছেন আগে থেকেই ছিল তাদের এমন পরিকল্পনা।
বোলিংয়ে দলের আস্থার নাম হলেও সুনীল নারাইনকে টি-টোয়েন্টিতে কার্যকর ব্যাটার বললেও ভুল হবে না। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খুব একটা সুযোগ পাননি নিজের ক্যামিও ইনিংস খেলার। নিচের দিকে নামতে হয়েছে বলে খুব বেশি সময়ও পাননি ঝলক দেখানোর।
তবে ফাইনালে যেতে জিততেই হবে এমন ম্যাচের আগেই বাজি ধরেছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিটন দাসের সাথে নারাইনই ওপেন করবেন তা আগেই নির্ধারিত ছিল। আর মাঠে সেটার প্রয়োগ নারাইন করেছেন দারুণভাবে।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে খেলেন ১৬ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। ১৩ বলে তুলে নেন বিপিএলের দ্রুততম ও সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি।
৪৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছে কুমিল্লা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে তাদের সঙ্গী আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা ফরচুন বরিশাল।
নাইরাইনকে ওপেন করানো প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্যই ওকে ওপেনে পাঠিয়েছিলাম। এটা আমাদের পরিকল্পনাই ছিল। সে শুরুতেই বিধ্বংসী হয়ে উঠলে যেকোনো প্রতিপক্ষের সমস্যা সৃষ্টি হবে। সে ঠিক এই কাজটাই করেছে।’
‘ওকে আমরা আগে ছয়ে ব্যাটিং করাচ্ছিলাম। এখানে ওরও তেমন কিছু করার নেই। ও তো আগ্রাসী খেলোয়াড়। ৬ নম্বরে কিছু করার থাকে না। আমাদের মনে হয়েছে ও যদি ওপরে ব্যাটিং করে, ২-৩ ওভার বল ব্যাটে লাগে, আমাদের দলের জন্য ভালো কিছু হবে। সে সেটাই করেছে।’
নারাইনের ৫ চার, ৬ ছক্কায় সাজানো ইনিংসের বদলৌতে পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লা স্কোরবোর্ডে তোলে ৮৪ রান। যেখানে অবদান আছে কায়েসেরও, শুরুর জড়তা কাটিয়ে রান তোলাতেও মনোযোগ দেন। ২৪ বলে খেলেন ২২ রানের ইনিংস।
নারাইনের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি প্রসঙ্গে কায়েস যোগ করেন, ‘ওর যখন ব্যাটে লাগছিল, আমিও চেষ্টা করছিলাম পাওয়ারপ্লে যতটা কাজে লাগানো যায়। ওর ব্যাটিংয়ে কাজ সহজ হয়ে গেছে, যার কারণে খুব সহজে ম্যাচটা জিতে গেছি।’