

দারুণ শুরুর পরেও টুর্নামেন্টের মাঝপথে প্লে-অফ খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। তবে শেষদিকে আবারও জয়ের ধারায় ফিরে প্লে-অফ খেলে দলটি, এলিমিনেটর জিতে ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। দুর্দান্ত বোলিং করে যেখানে বড় অবদান রাখেন বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
দল জেতাতে যা প্রয়োজন তা করার পাশাপাশি এই বাঁহাতির লক্ষ্য হতে চান টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আগামীকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মাঠে নামার আগে আজ এক ভিডিও বার্তায় কথা বলেন মৃত্যুঞ্জয়।
এই বাঁহাতি লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, ‘ব্যক্তিগত পরিকল্পনা বলতে দলের জন্য কিছু করা। যখন যেটা প্রয়োজন, দলের প্রয়োজনে সর্বচ্চ উইকেট, উইকেট নেওয়া সেটা আমি চেষ্টা করবো। সাথে যদি ডট বল দেওয়ার প্রয়োজন হয় সেটারও আমি চেষ্টা করবো।
‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য বলতে যেহেতু আমার আসরটা ভালো যাচ্ছে উইকেট পাচ্ছি, সে ক্ষেত্রে চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় উপরের দিকে থাকতে। আমার ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির এখন ১৭ উইকেট। আমার লক্ষ্য থাকবে প্রত্যেক ম্যাচে যতটা সম্ভব বেশি উইকেট নিতে পারি। এই উইকেটের দিক থেকে যেনো আমি এগিয়ে থাকতে পারি। এটাই আমার লক্ষ্য থাকবে।’
৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে তরুণ এই পেসার আছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে। ৯ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে সবার উপরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে তুলনামূলক তারুণ্য নির্ভর দল বলেই প্লে-অফ নিশ্চিত করতে শেষদিকে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মাঝে খেই হারানোর পেছনে মৃত্যুঞ্জয় নিজেও মনে করেন অভিজ্ঞতার ঘাটতিই দায়ী ছিল।
তার মতে, ‘আমরা তরুণ দল, আমাদের ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। আমরা প্রথম দিকে পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে ছিলাম। পরবর্তীতে আমরা তরুণ হওয়ার কারণে কিংবা নিজেদের ভুলের কারণে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সরে পেছনের দিকে চলে আসছিলাম।’
‘পরবর্তীতে আমরা আমাদের ভুলগুলো বুঝতে পারি এবং ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারি। সে শিক্ষাগুলো আমাদের টানা তিনটা ম্যাচ জেতায় এবং আগামীকালকের ম্যাচ পর্যন্ত আসায় সাহায্য করেছে।’
‘কালকের ম্যাচ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা বলতে সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা হলো জেতা। বরঙ আমরা জেতার জন্যই মাঠে নামবো। মরা বিগত ৩ টা ম্যাচ অসাধারণভাবে খেলেছি এবং প্রত্যেকটা খেলোয়াড় তার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আগামীকাল যেহেতু বাঁচা মরার ম্যাচ আমরা সেটাই চেষ্টা করবো। যাতে আমরা একটা ভালো জয় নিয়ে ফাইনালে যেতে পারি।’