

করোনার কারণে পৃথিবী যখন কার্যত বিনোদনহীন হয়ে পড়েছিল তখন বিনোদনের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতীর্থ, বিদেশী তারকাদের সঙ্গে চিট-চ্যাটে সবাইকে মাতিয়ে রেখেছিলেন। তামিম ভবিষ্যতে ভালো সঞ্চালক হবেন সেই ধারণা সবাই পেয়েছিল তখন। ভালো ইংরেজী বলতে পারা তামিম ইকবাল দারুণ এক আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার হতে পারেন, এমনটাই মনে করেন অনেকে। আজ হয়ে গেল তার ডেমোও।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছিল বিপিএলের এলিমিনেটর। চট্টগ্রাম চ্যাকেঞ্জার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটিংয়ের সময় হঠাৎ ধারাভাষ্য কক্ষে তামিম ইকবাল। কিছুক্ষণ ধারাভাষ্য দিয়েছেন। পরে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
তামিম ইকবাল বলেন, ‘কমেন্ট্রি দেওয়া বলতে আমি এমনিই বোর্ডে আসছিলাম, মিটিং ছিল। শেষ পাকিস্তান সিরিজেও আমাকে অনুরোধ করা হয়েছিল, তখন করা হয় নাই। তবে এবার একটু চেষ্টা করে দেখলাম যে কেমন লাগে। একটু হাই-হ্যালো আতহার ভাইদের সঙ্গে।’
View this post on Instagram
ধারাভাষ্যকে ইন্টারেস্টিং বলে ভবিষ্যতে এই পেশায় যাবার আভাস দিলেও তামিম বলছেন এখন এসব নিয়ে ভাবনা নেই তার।
‘ইন্টারেস্টিং, তবে আমি তো মেইনলি কমেন্ট্রি বলতে পারেন যে করি নাই। আমি আমার নিয়েই আলাপ করছিলাম, খেলা নিয়ে টুকটাক বলছিলাম। এটা ইন্টারেস্টিং থিং, সামথিং টু লুক ফর ফিউচার প্রবাবলি। তবে এই মুহূর্তে এসব নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা নেই।’
বাংলাদেশ দলের খারাপ সময়ে ধারাভাষ্য কক্ষে দলকে ডিফেন্ড করেছেন আতহার আলি খান, শামীম আশরাফ চৌধুরীরা। তারা প্রশংসা পাবার দাবিদার বলে মনে করেন তামিম ইকবাল। ধারাভাষ্য কক্ষে যেয়ে আতহার আলি খানকে সেই কথা বলেছেন তামিম।
তামিম বলেন, ‘দেখেন, ওনাদের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ না। বরং তাদের নিয়ে আমাদের বলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের ক্রিকেটের দিকটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলি না। চিন্তা করেন, বাংলাদেশ দল যখন খারাপ খেলে, আজ থেকে কয়েক বছর আগে আমরা যখন ম্যাচ হারতে থাকতাম, আতহার ভাই-শামীম ভাইরাই পিলার ছিলেন। বাকি ২০ জনের সামনে বাংলাদেশকে ছোট হতে দেয় নাই। দে কেপ্ট অন সাপোর্টিং। তারা কঠিন কাজ করেছেন। এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিৎ। আতহার ভাইকে এটিই বলেছি আজ।’