

হারের ডাবল হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলো করাচি কিংস। হযরতউল্লাহ জাজাই ও মোহাম্মদ হারিসের চমকপ্রদ ব্যাটিংয়ে করাচির বিপক্ষে ৫৫ রানের সহজ জয় পেয়েছে পেশোয়ার জালমি। বিফলে যায় বাবর আজমের লড়াকু ইনিংস।
দুই ওপেনারের উদ্বোধনী জুটিতেই বড় স্কোরের পথ পেয়ে যায় পেশোয়ার। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জাজাই ও হারিসের কাছ থেকে শুরুতে ৯৭ রানের জুটি পায় তারা।
মাত্র ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন হারিস। ২৭ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯ রান করেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পান তিনি। হারিস না পারলেও জাজাই (৫২) ঠিকই অর্ধশতকের দেখা পান।
এ দুইজনের বিদায়ের পর শোয়েব মালিকের ৩১ ও বেন কাটিংয়ের ২৬ রানের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান নেয় পেশোয়ার।
করাচির পক্ষে ক্রিস জর্ডান ৩ উইকেট পান।
১৯৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাবর ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান বড় স্কোর গড়তে পারেননি। পেশোয়ারের অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ ও সালমান ইরশাদ দারুণ বোলিং করে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করেন।
৬ উইকেটে ১৩৮ রানে থামতে বাধ্য হয় করাচি। বাবর সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন। এছাড়া জো ক্লার্ক নেন ২৬ রান।
পেশোয়ারের পক্ষে ওয়াহাব ও ইরশাদ ২টি করে উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পেশোয়ার জালমিঃ ১৯৩/৬ (২০), জাজাই ৫২, হারিস ৪৯, লিভিংস্টোন ৬, শোয়েব ৩১, কাটিং ২৬, রাদারফোর্ড ১১, হায়দার ২*, আমাদ ১*; নবি ৪-০-৩৩-১, উমাইদ ৪-০-৩৫-১, জর্ডান ৪-০-৪১-৩, কাসিম ১-০-৭-১
করাচি কিংসঃ ১৩৮/৬ (২০), বাবর ৫৯, শারজিল ১৪, ক্লার্ক ২৬, নবি ১৫, ককবেইন ১৪, ইয়ামিন ৬, ফারহান ১*, জর্ডান ১*; ওমর ৪-০-২৯-১, ইরশাদ ৪-০-২৪-২, ওয়াহাব ৪-০-২৬-২, লিভিংস্টোন ৩-০-২২-১
ফলাফলঃ পেশোয়ার জালমি ৫৫ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ মোহাম্মদ হারিস (পেশোয়ার জালমি)।