

মিনিস্টার ঢাকার পেসার ফজল হক ফারুকীকে চার মেরে ফিফটি ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান, আর তাতে ২৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত হয়েছে ফরচুন বরিশালের। ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয় নিশ্চিতভাবেই জানান দেয় ম্যাচে কতটা দাপুটে ছিলো ফরচুন বরিশাল। ঠিক যেন সাকিব ও ফরচুন বরিশাল একই ধারায় এগোচ্ছে।
ব্যাটে-বলে সামন তালে পারফর্ম করে অধিনায়ক হিসেবে সাকিব যেভাবে দলকে টেনে নিচ্ছেন তা দুর্দান্ত। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে ১০ ম্যাচে ফিফটি হাঁকালেন তৃতীয়বার, হাতে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার উঠলো টানা পঞ্চমবার।
View this post on Instagram
এই জয়ে ফরচুন বরিশাল গ্রুপ পর্ব শেষ করলো ১৫ পয়েন্ট নিয়ে, আছে শীর্ষেই। যেখানে ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ খেলতে মিনিস্টার ঢাকাকে অপেক্ষায় থাকলে হচ্ছে গ্রুপ পর্বের শেষ দিনে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আলাদা দুই ম্যাচের দিকে।
আগে ব্যাট করা মিনিস্টার ঢাকা তামিম ইকবালের ৬৬ রানের পরও ৯ উইকেটে ১২৮ রানের বেশি করতে পারেনি। জবাবে আরেক দফা ক্রিস গেইল ব্যর্থ হলেও মুনিম শাহরিয়ারের আরও একটি কার্যকরী ইনিংসে পথেই ছিলো ফরচুন বরিশাল, যার শেষটা করেছেন সাকিব।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাওয়ার প্লেতে ক্রিস গেইলের (১১ বলে ৭) উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তোলে ফরচুন বরিশাল। পাওয়ার প্লেতে কিছুটা ছন্দ খুঁজে পেতে সময় লাগে ফর্মে থাকা মুনিম শাহরিয়ারের। তবে কায়েস আহমেদের করা ৭ম ওভারে ২ ছক্কা হাঁকিয়ে সহজাত ব্যাটিংয়ের আভাস দেন। তবে আউটও হয়েছেন ঐ ওভারেই, ২৫ বলে তার ব্যাটে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৩৭ রান।
৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ফর্মের তুঙ্গে থাকা সাকিব আল হাসান জয়ের পথটা একবারের জন্যও অমসৃণ হতে দেননি। নিজের খেলা ৭ম বলে বাউনফারির দেখা পাওয়া সাকিব ১২তম ওভারে আফগান পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে হাঁকান ৪ চার ১ ছক্কা, ওভারে রান আসে ২৩!
১৪তম ওভারে শফিউল ইসলামকে মিড উইকেট দিয়ে হাঁকানো ছক্কাটি তার ইনিংসের ট্রেডমার্কও বলা যায়। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ফারুকীকে চার মেরে ২৯ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ছুঁয়েছেন ফিফটি, তাতে নিশ্চিত হয় জয়ও। যেখানে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে অবিচ্ছেদ্য জুটি ৮৩ রানের। শান্ত অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ২৮ রানে।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা মিনিস্টার ঢাকার ইনিংস পুরোটাই তামিম ইকবাল কেন্দ্রীক। তামিমের সাথে এদিন ওপেন করেন নাইম শেখ। জাতীয় দলের এই ওপেনার টুর্নামেন্তে প্রথমবার সুযোগ পেলেন এই পজিশনে। তবে যথারীতি হয়েছেন ব্যর্থ (৯ বলে ৬) শফিকুল ইসলামের শর্ট বলকে পুল করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন সাকিবকে।
দ্রুত ফিরেছেন জহরুল ইসলাম (২), অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩) ও শামসুর রহমান (৩)। অন্য পাশে আসা যাওয়ার মিছিল দেখতে দেখতে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলন তামিম। মুজিবুর রহমানের করা ১৩তম ওভারে লং অনে ঠেলে দিয়ে ৩৮ বলে তুলে নেন ফিফটি।
ফিফটির পর অবশ্য ইনিংসকে টেনে নিতে পারেননি বেশি দূর। ৫০ বলে ৯ চার ১ ছক্কায় ৬৬ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
তামিম ফিরে গেলে মিনিস্টার ঢাকার রানের চাকা যা একটু সচল ছিলো তা শুভাগত হোমের ব্যাটে। ৯ উইকেটে ১২৮ রানের সংগ্রহ পাওয়ার পথে তার ব্যাতে ২৭ বলে অপরাজিত ২১ রান।
ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ২ টি করে উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম, ডোয়াইন ব্রাভো ও মেহেদী হাসান রানা।