

২০১৯ সালে মিরপুরে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে পথচলা শুরু মুনিম শাহরিয়ারের। লিস্ট এ ক্রিকেটে অবশ্য ২০১৭ সাল থেকেই খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২৩ বছর বয়সী এই ওপেনারকে এবারে বিপিএলে দলে নেয় ফরচুন বরিশাল।
চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচে রান পাননি, ফেরেন ১ রান করে। তবে সিলেটে এসে হেসেছে মুনিম শাহরিয়ারের ব্যাট। ২৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। প্রথম ম্যাচে দ্রুত আউট হয়ে চাপে ছিলেন জানান মুনিম শাহরিয়ার। তবে ফিফটি না হওয়ায় আক্ষেপ আছে তার।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুনিম শাহরিয়ার বলেন, ‘শুরুতে আল্লাহকে ধন্যবাদ। এটা আমার প্রথম বিপিএল, প্রথম ম্যাচে আউট হয়ে যাওয়ার পর এই ম্যাচে হাল্কা চাপ ছিল আমার উপরে। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি। দল জিতেছে, আমার অবদান আছে, ৫০ হলে আরও ভালো লাগতো। যাইহোক, যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ, পরের ম্যাচে আরও ভালো করার চেষ্টা করবো।’
৪ চার, ৩ ছক্কা- ২৫ বল স্থায়ী ইনিংসে মুনিম শাহরিয়ার খেলেছেন দারুণ কিছু শট। ভালো খেলার পেছনে কোন রহস্য ছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে মুনিম বলেন খালেদ মাহমুদ সুজনের নাম। ফরচুন বরিশালের কোচ তাকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।
মুনিম বলেন, ‘রহস্য বলতে আমার কোচ যিনি আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন উনি আমাকে বলছে যে ফ্রিডম নিয়ে খেল। তোর এতো বেশি কিছু চিন্তা করতে হবে না। তো এ জিনিসটা আমাকে অনেক সাহস জুগিয়েছে। বাকিরাও আমাকে ভালো সমর্থন দিয়েছে, শান্ত সাকিব ভাই বা অন্য যারা আছেন সবাই ভালো ভালো জ্ঞান দিয়েছেন। আমি ওভাবে চেষ্টা করেছি, আল্লাহর ইচ্ছে ছিল।’
আলাদা কোন লক্ষ্য ঠিক করেননি মুনিম। ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলে দলের দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে চান তিনি।
‘আলাদা কোনো লক্ষ্য বলতে ম্যাচ বাই ম্যাচ আরকি খেলে যাওয়া র ইচ্ছে। যদি সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো ব্যাটিং করতে পারি। প্রত্যেক ম্যাচে নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করবো, বড় করার চেষ্টা করবো। আমার যেটা দায়িত্ব পাওয়ার প্লে ব্যবহার করা এটার চেষ্টা করবো, এগুলোই।’