

ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ব্যাট হাতে ঝলক দেখাচ্ছেন ইংলিশ ক্রিকেটার উইল জ্যাকস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বরাবরই ভালো পছন্দ জ্যাকস। এখনো পর্যন্ত এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হারা ম্যাচেও আজ (৩১ জানুয়ারি) খেলেছেন ৬৯ রানের দারুণ এক ইনিংস।
ম্যাচ শেষে এই তরুণ জানালেন জাতীয় দলের স্বপ্ন দেখেন ঠিকই, তবে সেই স্বপ্নেই বুঁদ হয়ে থাকতে চান না। বরং নিজের কাজ সেরা ক্রিকেট খেলাতেই হতে চান মনযোগী। শুধু জাতীয় দলের চিন্তা করাকে ভয়ঙ্কর বলছেন জ্যাকস।
প্রথম ৩ ম্যাচে তার ইনিংসগুলো হলো ৪১, ১৭ ও ২৮ রানের। চতুর্থ ম্যাচে খেলেন ১৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস, সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে সেদিন ১৮ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। যা বিপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
আজ অবশ্য পরিস্থিতি ছিলো ভিন্ন, তাড়া করতে হতো ১৮৩ রান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া এই লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দল গুটিয়ে গেছে ১৩১ রানে। তবে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ৪২ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় জ্যাকস খেললেন ৬৯ রানের ইনিংস।
View this post on Instagram
আগের ম্যাচে ফ্লাড লাইটে ব্যাট করলেও আজ খেলতে হয়েছে দিনের আলোতে। ম্যাচ শেষে জ্যাকস বলছেন রাতের ম্যাচ অনেকটা ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের মতো। ফলে দিনের ম্যাচে কিছুটা কঠিন উইকেটে রান তাড়ার কাজটা করতে চেয়েছিলেন তিনি। ব্যর্থ হলেও এই ইংলিশ বলছেন প্রতিনিয়ত শিখছেন।
তিনি বলেন, ‘দিনের ম্যাচে খেলাটা এতো সহজ না। বলে কিছুটা বাড়তি টার্ন থাকে। রাতের ম্যাচে যেমন বল ব্যাটে সুন্দরভাবে আসে তেমনটা দিনে হয়না। যে কারণে এটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে এটাও অবশ্য বলতে হবে আমরা আজ স্বাভাবিক ব্যাটিংটাও করতে পারিনি।’
‘রাতের ম্যাচগুলো অনেকটা ইংল্যান্ডের মতো। কিন্তু আমার জন্য শেখার বিষয় ছিলো এমন (দিনের) উইকেটে কীভাবে রান তাড়া করতে হয়। হ্যাঁ আমি প্রতিটি ম্যাচেই শেখার কাজটা উপভোগ করছি। আজকে আমরা পাওয়ার প্লেতে যদি ভালো কিছু পেতাম তবে আমাদের জন্য ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হতো।’
৬ ম্যাচে ৩৭ এর বেশি গড়ে ১৬৫.১৯ স্ট্রাইক রেটে উইল জ্যাকস এখনো পর্যন্ত করেছেন ২২৩ রান। বিপিএলের আগে টি-১০ এর মতো সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও ছিলেন ধারবাহিক। ভালো করেছেন ১০০ বলে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টেও।
সব ধরণের টি-টোয়েন্টি মিলিয়েও তার স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর বেশি। যেভাবে খেলছেন তাতে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ডাক আসতে পারে শীঘ্রই। তবে জ্যাকস জাতীয় দল নিয়ে স্বপ্ন দেখলেও সেটাতেই বিভোর থাকছেন না।
এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘অবশ্যই প্রত্যেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখে, আর আমার স্বপ্ন ইংল্যান্ড। নিকট ভবিষ্যতে এমন কিছু হওয়াটা আমার জন্য দারুণ ব্যাপার। কিন্তু আমি মনে করি শুধু এটা নিয়ে চিন্তা করাটা ভয়ঙ্কর।’
‘আমি চিন্তা করি পরবর্তীতে কি ঘটছে তা নিয়ে, আমি যখন খেলাই মনযোগ দিই সেটাই আমাকে ভালো খেলতে সাহায্য করে। প্রতিনিয়ত খেলার মাধ্যমে উন্নতি করছি। আমি শুধু আমার খেলাটা সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা করতে পারি।’