

অধিনায়কত্ব থেকে সরানো ইস্যুতে মেহেদী হাসান মিরাজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলবেন না বলেও ঘোষণা দেন। তবে দুই পক্ষের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ সমঝোতা হয়ে মিরাজ থেকে গেছেন দলের সাথেই, খেলেছেন ম্যাচও। তবে তার আগেই নিজে বিতর্কিত ইস্যুটি বিসিবি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে ঝামেলা যেনো আরও বাড়ালেন। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল দ্রুতই দুই পক্ষকে শুনানিতে ডাকবেন। ইতোমধ্যে ঘটনার জন্য দায়ও দিয়েছেন দুই পক্ষকেই।
আজ (৩১ জানুয়ারি) মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন, ‘আসলে কালকে আমরা ঘটনাটা শুনলাম। আমরা আলাপ আলোচনা করেছি, আমি ছিলাম, মল্লিক (ইসমাইল হায়দার) ভাইও ছিল। সবার সঙ্গে কথা বলার পরে আমরা যেটা দেখেছি মিরাজেরও এখানে ভুল আছে, ম্যানেজমেন্টেরও ভুল আছে। দুজনই কিন্তু হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়।’
‘মিরাজের মতো জাতীয় এবং উঁচু মানের ক্রিকেটার হয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই ভূমিকাটা রাখা ঠিক হয়নি। তার আরও অপেক্ষা করা উচিত ছিল। যেহেতু আমরা বিসিবির কমিটি ছিলাম সেখানে সে বলে অপেক্ষা করতে পারতো। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও সমস্যা আছে, আমি তাদেরও ছাড় দেবো না।’
‘তাদের শুনানি হবে কয়েকদিনের মাঝে। দুই পক্ষ নিয়েই আমরা শুনানি করবো। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও ধৈর্য্য ধরা উচিত ছিল। তারা দুই পক্ষই নিজেদের মাঝে আলোচনা করে একটা কিছু করতে পারতো। এত বড় পর্যায়ে যাওয়ার জিনিস ছিল না।’
গত ২৮ জানুয়ারি সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হুট করেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে টস করতে দেখা যায় নাইম ইসলামকে। নিয়মিত অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে না দেখে খটকা লাগে, পরে জানা যায় টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত টুর্নামেন্টের বাকি অংশে নাইমই অধিনায়কত্ব করবেন।
আর এতেই যত ক্ষোভ মিরাজের, অপমান বোধ করে পরদিনই চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় ফিরতে চান। এমনকি গতকাল (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে হোটেলও ছাড়েন, কিন্তু পরে সমঝোতা করে রাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টি সুরাহা করে মালিকপক্ষ। অভিমানী মিরাজকে দলের সাথে রাখতে সক্ষম হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি।
তবে তার আগেই ঘটনার ডাল পালা বেশ ছড়িয়ে যায়। এমনকি বিসিবি সিইও ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছেও নিজে বিপিএল খেলতে চান না বলে জানান মিরাজ। বিসিবি সিইও কে পাঠানো মেইলে অবশ্য উল্লেখ করেন মায়ের অসুস্থতার জন্যই বিপিএল খেলতে চান না।
পরে বিকেলে হোটেলেও উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের কাছে নানা অভিযগ করেন মিরাজ। যেখানে তার মূল কাঠগড়ায় ছিলো ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চিফ অপারেটিং অফিসার সৈয়দ ইয়াসির আলম। ইয়াসির দলের সাথে থাকলে খেলবেন না বলেও হুমকি দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় কাউকেই দল ছাড়তে হয়নি।