

ভিরাট কোহলির অধিনায়কত্বের ঘটনা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে রবি শাস্ত্রীর দেওয়া মন্তব্যে ভীষণ চটেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। তার মতে, শাস্ত্রীর ২.০ সংস্করণ একদমই বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলেনি এবং এসবের পিছনে সাবেক ভারতীয় কোচের একজন এজেন্ডা রয়েছে।
২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন শাস্ত্রী। সম্প্রতি তিনি জানান, কোহলি যে টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে ৫০-৬০টি জয় এনে দিতে পারবে, এ ব্যাপারটা অনেকে হজম করতে পারবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারার পর এ মাসে টেস্টের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন কোহলি। তার ৭ বছরের অধিনায়কত্বে ৬৮টি টেস্টের মধ্যে ৪০টিতে জিতেছে ভারত।
‘রবি শাস্ত্রীর প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল ছিলাম আমি। তার অধীনে খেলেছিলাম। তিনি সবসময় খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতেন। তিনি একজন দুর্দান্ত যোদ্ধা ও অভিজ্ঞ। তবে শাস্ত্রীর ২.০ সংস্করণ আমি বুঝতে পারিনি। জনসমক্ষে তিনি যা বলেছেন, প্রত্যাশিত ছিল। আমি এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি না। আমি অশ্রদ্ধাশীল হতে চাই না। তিনি বুদ্ধিবৃত্তিক মন্তব্য করেননি। তার পেছনে এজেন্ডা কাজ করছে। এটা একদময় ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক প্রসূত কথা হয়নি,’ সিএনএন-নিউজ এইটিন-কে বলেন মাঞ্জরেকার।
গত সপ্তাহে ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কোহলির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন শাস্ত্রী।
‘কোহলি ইচ্ছা করলে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে পারতো। সে ভারতকে আরও ২ বছর নিশ্চিন্তে নেতৃত্ব দিতে পারতো। কেননা এ ২ বছরে ভারত শুধু ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলবে। সেক্ষেত্রে ৯-১০টি জয় পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। র্যাংকিংয়েও উন্নতি হতো। তবে সে ৫০-৬০টি জয় পাবে, এটা অনেক লোকই মানতে পারবে না,’ বলেন শাস্ত্রী।
‘২ বছরে সে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতো ভারতকে। তবে তার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাই। যেকোন দেশের জন্য এ ধরণের রেকর্ড অবিস্মরণীয়। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আপনি জিতেছিলেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছেন। কিন্তু তার অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল কীনা, এ নিয়ে বহু তর্ক বিবাদ হবে,’ যোগ করেন শাস্ত্রী।