

ফরচুন বরিশাল পেসার শফিকুল ইসলাম আজ (২৩ জানুয়ারি) মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে দেখিয়েছেন ঝলক। বেশ কিছুদিন ধরেই নজরে থাকা এই বাঁহাতি আরেক দফা প্রশংসা কুড়ালেন দলের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের। শফিকুলের মাঝে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত দেখেন।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে শফিকুলের অভিষেক ২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে। যেখানে কোচের ভূমিকায় ছিলেন সুজনই। সেবার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমতো এই বাঁহাতিকে টুর্নামেন্টের সেরা প্রাপ্তি হিসেবেও উল্লেখ করেন।
আজ মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে সুযোগ হয় শফিকুলের। আর এই ম্যাচ দিয়েই হলো বিপিএলে অভিষেক। ম্যাচে দল হারলেও শফিকুল ছিলেন দুর্দান্ত।
ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১২৯ রান তাড়ায় নেমে মিনিস্টার ঢাকা ১০ রানেই হারায় ৪ উইকেট। যেখানে নিজের প্রথম ২ ওভারেই শফিকুলের শিকার ২ উইকেট। ৩ ওভারের টানা স্পেলে ২০ রান খরচায় উইকেট ওই দুইটিই।
View this post on Instagram
ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফেরান প্রতিপক্ষের অভিজ্ঞ তামিম ইকবালকে। তার নিচু হওয়া বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। নিজের পরের ওভারেই ফেরান মোহাম্মদ শেহজাদকে। ইয়র্কার লেংথে ফেলে কিছুটা মুভমেন্ট আদায় করা বলে করেছেন বোল্ড।
তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শুভাগত হোম ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে চড়ে ১৫ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় মিনিস্টার ঢাকা। ম্যাচ শেষে অবশ্য কোচের প্রশংসা কুড়িয়েছেন শফিকুল।
কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘বল হাতে সে বেশ মুগ্ধ করেছে। আমি যখন গতবার খুলনার (মূলত বেক্সিমকো ঢাকা) সাথে ছিলাম তখন ও দলে ছিলো। গত ৪-৫ বছর ধরেই তাকে দেখে আসছি। সে অনেক উন্নতি করেছে, দিন দিন উন্নতি করছে। আজকেও খুব ভালো বোলিং করেছে। প্রথম ম্যাচেই তাকে আমি খেলাতে চেয়েছি কম্বিনেশনের কারণে হয়তো হয়নি।’
‘কিন্তু সে দারুণ বোলিং করেছে। অবশ্যই তার জন্য এখনো অনেক দূরের পথ, এখনই বড়ভাবে বলা ভালো না। তবে সে দারুণ করছে প্রতিদিনই ভালো করছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ ক্রিকেটে ভালো সম্ভাবনা আছে।’