

২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা বাংলাদেশে আসে আকবর আলিদের হাত ধরে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ২০২২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেছে টাইগার যুবারা। তবে আগের বিশ্বকাপ খেলা রাকিবুল হাসানের দলের শুরুটা হয়েছে ভুলে যাবার মত।
সেন্ট কিটসে ইংলিশ যুবাদের বিপক্ষে মুখ থুবড়ে পড়েছে টাইগার যুবাদের ব্যাটিং লাইন আপ। যশুয়া বয়ডেনের বোলিং তোপে মাত্র ৯৭ রানেই গুটিয়ে গেছে রাকিবুল হাসানের দল।
যুব ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের ৮ম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে দুইবার ৫০ এর নিচেও অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ
৩৪- বিপক্ষ ভারত, লাহোর, ২০০৩
৪১- বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, কুয়ালালামপুর, ২০০৮
৭০- বিপক্ষ ভারত, কলম্বো, ২০০৭
৭৫- বিপক্ষ আফগানিস্তান, সিলেট, ২০১৭
৭৬- বিপক্ষ ভারত, কোলকাতা, ২০১৫
৮৮- বিপক্ষ আফগানিস্তান, সিলেট, ২০১৭
৯১- বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, অকল্যান্ড, ২০০২
৯৭- বিপক্ষ ইংল্যান্ড, সেন্ট কিটস, আজ
টসে জিতে এদিন আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাকিবুল হাসান। ১০ ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশের যুবারা। দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন (৩) ও আরিফুল ইসলাম (৪) কে ফেরান যশুয়া বয়ডেন।
বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ হয়ে কোন ম্যাচ না খেলা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল তিনে নেমে ফেরেন কোন রান না করেই। তাকে ফেরান জেমস সিলস। লুক্সটনের ডিরেক্ট থ্রোতে ১ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন মোহাম্মদ ফাহিম।
দলের বিপদের মধ্যেই প্রমোশন পেয়ে ৬ নম্বরে নামেন আশিকুর জামান। যদিও দুই অঙ্ক স্পর্শ করা হয়নি তারও। ১৪ বলে ২ চারে ৯ রান করা আশিক ফেরেন থমাস আস্পিনওয়ালের প্রথম শিকার হয়ে। আস্পিনওয়াল পরে ফেরান এসএম মেহেরবকেও (১৪)।
মাঝে ফাতেহ সিংয়ের স্পিনে বিদায় নেন আইচ মোল্লাও (১৩), ক্যাচ দেন সিলসকে। আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪) কে ফেরান টাইগার শিবিরে কাপুনি ধরানো বয়ডেন।
অধিনায়ক রাকিবুল হাসান কোন রান না করেই বয়ডেনের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন। ২৪.২ ওভারে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রান তখন ৯ উইকেটে ৫১।
যখন মনে হচ্ছিল অলআউট হওয়া সময়ের ব্যাপার, তখন কাউন্টার অ্যাটাকে দলের রান বাড়িয়ে নেবার দায়িত্ব নেন রিপন মন্ডল। শেষ অব্দি ৪১ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রিপন মন্ডল, বাংলাদেশ থামে ৯৭ রানে। ২৭ বলে ১১ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হন নাইমুর রহমান নয়ন।