

ঐতিহ্যের মহারণে জয়ী অস্ট্রেলিয়া, ৪-০ ব্যবধানের বড় জয়ে অ্যাশেজ ধরে রাখল প্যাট কামিন্সের দল। একমাত্র চতুর্থ টেস্ট সিডনিতে কোনো রকমে হার বাঁচিয়ে হোয়াইটওয়াশ বাঁচালেও, হোবার্টের দিবা রাত্রির টেস্টেও বড় হার জো রুটদের। ইংল্যান্ডকে ১৪৬ রানে হারিয়ে দিল স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করা অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হিসেবে নাম লেখালেন প্যাট কামিন্স।
অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক সিরিজ স্মরণীয় করে রাখলেন প্যাট কামিন্স। ১৪৬ রানে পঞ্চম টেস্ট জিতে ৪-০ ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০২১-২২ অ্যাশেজ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ৩৫৭ রান নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার পান ট্রাভিস হেড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৫ রানে অল আউট হলেও, প্রথম ইনিংসে ১১৫ রানের বড় লিড থাকায় হোবার্টে অজিদের জয়টা সহজই হল। ২৭১ রান তাড়া করতে গিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৮ রান তোলে ইংল্যান্ড। এরপর ৫৬ রানে শেষ ১০ উইকেট।
মাত্র ৩ দিনেই শেষ সিরিজের শেষ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৫৫ রানে। তবে কাজে এল না ইংল্যান্ডের পেসার মার্ক উডের ৩৭ রান খরচায় ৬ উইকেটের স্পেলটা। ২৭১ রান তাড়া করতে নেমে এ ভাবে ১২৪ রানে শেষ হয়ে যাবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি। ১৪৬ রানে সিরিজের শেষ টেস্ট জিতল অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন জ্যাক ক্রাউলি। চোট সারিয়ে এসেই সেরা খেলোয়াড় হন ট্রেভিস হেড।
এর আগে হোবার্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৩০৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। শতরানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন ট্রেভিস হেড। আর তাতেই হেড জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। ৭৪ রান আসে ক্যামেরন গ্রিনের ব্যাট থেকে।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও মার্ক উড। ২টি করে উইকেট নেন ওলি রবিনসন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেমে যায় ১৮৮ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ত্রিশ রানের গণ্ডী পার হয় ক্রিস ওকস ও অধিনায়ক জো রুটের ব্যাটে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। ৩টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। একটি করে উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড ও ক্যামেরন গ্রিন।
২০২১-২২ অ্যাশেজ সিরিজঃ
• ব্রিসবেন (১ম টেস্ট)- ৯ উইকেটে জয়লাভ করে অস্ট্রেলিয়া।
• অ্যাডিলেড (২য় টেস্ট)- ২৭৫ রানে জেতে অস্ট্রেলিয়া।
• মেলবোর্ন (৩য় টেস্ট)- ১৪ রানে অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করে।
• সিডনি (৪র্থ টেস্ট)- ড্র।
• হোবার্ট (৫ম টেস্ট)- ১৪৬ রানে জয়লাভ করে অস্ট্রেলিয়া।