

কেপটাউন টেস্টে রিভিউ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগারের বেঁচে যাওয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিল ভারতীয় দল। মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রডকাস্টার সুপার স্পোর্টসের টেকনোলজি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তাদের উগ্র মন্তব্যের বিরুদ্ধে কোন শাস্তি না দিলেও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট সতর্ক করেছেন।
ক্ষুব্ধ হয়ে বির্তকিত মন্তব্য করেছিলেন খোদ অধিনায়ক ভিরাট কোহলি। ব্রডকাস্টাররা এভাবেই অর্থ উপার্জন করে বলে মন্তব্য করেন কোহলি, যা স্টাম্পের মাইকে স্পষ্ট শোনা গেছে।
ভারত দলের সহঅধিনায়ক লোকেশ রাহুলও কম যাননি। তার মন্তব্যটি ছিল আরও কড়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘সারা দেশ ১১ জনের বিরুদ্ধে খেলছে।’
ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন অবশ্য শুধু সরাসরি ব্রডকাস্টারদের দিকেই আঙুল তোলেন। স্টাম্পের মাইকে শোনা যায় অশ্বিনের গলা, ‘জেতার জন্য আরও ভালো একটা উপায় খুঁজে বের করা উচিত ছিল, সুপারস্পোর্ট!’
প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে সতর্ক করেছেন পাইক্রফট। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে খেলোয়াড়রা নিষেধাজ্ঞার গ্যাড়াকলে পড়বেন।
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসের ২১তম ওভারে। ২১২ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ১ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ৬০ রান। উইকেট পেতে মরিয়া ভারত। এ সময় স্পিনার অশ্বিনের বল গিয়ে আঘাত হানে এলগারের প্যাডে। ভারতের এলবিডব্লিউর আবেদনে ইতিবাচক সাড়াও দেন আম্পায়ার মেরাইস এরাসমাস। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার রিভিউতে বল ট্র্যাকিংয়ের সময় দেখা যায় ডেলিভারিটা চলে যেতো স্টাম্পের ওপর দিয়ে। নটআউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার।
আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভিরাট কোহলিসহ অন্যান্য ভারতীয়রা। বল ট্র্যাকিংয়ের এই টেকনোলজিতে সন্দেহ পোষণ করেন কোহলি।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়া। ডিআরএস নিয়ে কোনো দলকে এভাবে মাঠে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিতে আগে কখনও দেখা যায়নি।