

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মানেই যেনো এক গুচ্ছ বিতর্ক, আক্ষেপ, ব্যর্থতা কিংবা দায় সারা আয়োজনের নাম। বেশ পরে শুরু হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) যেখানে একটা দারুণ কাঠামোয় দাঁড়িয়ে গেছে সেখানে বিপিএলের ভিত্তিপ্রস্তরই যেনো এখনো তৈরি হয়নি। এবারের বিপিএল থাকছে না ডিআরএসের (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসই। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বলছে এসব মেনে নিয়েই খেলতে হবে দলগুলোকে।
বিপিএলের এবারের আসর এমনিতেই নানা দিক থেকে সীমাবদ্ধতায় ভরপুর। শেষ মুহূর্তে এসে জানা গেলো নেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ডিআরএস। প্রায় একই সময়ে শুরু হতে যাওয়া পিএসএলের এবারের আসরে অবশ্য থাকছে ডিআরএস ।
সে ক্ষেত্রে বিপিএলে ডিআরএস না থাকাঁটা নিশ্চিতভাবেই ব্যর্থতা বলা যায় আয়োজকদের। তবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দয়ার মল্লিক বলছেন করোনা পরিস্থিতিই তাদের পিছিয়ে দিয়েছে।
আজ (১৫ জানুয়ারি) মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,
‘এবারের বিপিএল তো আমরা অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে করছি, আমাদের অনেকগুলো জায়গায় সংগ্রাম করতে হয়েছে। অনেকগুলো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। যেমন ডিআরএস টা দেওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু আমরা যেহেতু ডিআরএস ম্যানেজ করতে পারিনি। ডিআরএসের টেকনেশিয়ানরা যেসব ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে সেখান থেকে আর আসতে চাচ্ছে না। সুতরাং এটা নিয়ে একটা সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
ডিআরএস না থাকায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কিনা কিংবা এ নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে মল্লিক জানালেন আলোচনার কোনো সুযোগই নেই। ডিআরএস না থাকাতে নিজেদের কোনো ব্যর্থতাই যে দেখছেন না বিসিবির প্রভাবশালী এই পরিচালক।
তিনি বলেন,
‘এটা আলাপের বিষয় না, যদি এমন হতো এটা আছে কিন্তু আমরা নিচ্ছি না তাহলে আলাপের বিষয় ছিলো। আমরা চেষ্টা করছি, যদি না আসে তাহলে সবাইকে এটা মেনে নিয়েই টুর্নামেন্ট খেলতে হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২১ তারিখ পর্দা উঠতে যাচ্ছে বিপিএলের। যেখানে ডিআরএসের মতো একই কারণে বিদেশী ধারভাষ্যকার ও আম্পায়ারের ক্ষেত্রেও অপূর্ণতা থাকছে। খুব ভালো মানের আম্পায়ার কিংবা ধারাভাষ্যকার পাওয়া যাচ্ছে না নিশ্চিত।