

লঙ্গার ভার্সনের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) শেষে ২০ ওভারি ক্রিকেট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ( বিপিএল) এর আগে সিলেটে হচ্ছে ৫০ ওভারি ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ। তবে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই দেখা গেছে লো স্কোরিং ম্যাচ। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হল না, ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে মাঝারি মানের সংগ্রহ দাড় করিয়েছে বিসিবি সাউথ জোন।
সিলেটের উইকেট নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে ক্রিকেটার, কোচ, সমর্থকদের কণ্ঠে। উইকেটের সহায়তা নিয়ে বোলাররা ব্যাটারদের জীবন করেছে দুর্বিসহ। ফাইনালেও হাঁসফাঁস করেছে ব্যাটাররা।
যদিও টসে হেরে আগে ব্যাট করা বিসিবি সাউথ জোন শুরুটা বেশ ভালো করে। পিনাক ঘোষ ও এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫১ রান। ১১.৫ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙেন নাজমুল ইসলাম অপু। ২০ রান করা বিজয়কে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন এই বাহাতি স্পিনার।
বিজয় ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তার সঙ্গী পিনাক ঘোষ। ৪৭ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ রান করা পিনাককে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সৌম্য সরকার।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর ম্যাচে নিজেদের রাশ টেনে ধরতে পারেননি সাউথ জোনের ব্যাটাররা। সাউথ জোনের ভরসার নাম হয়ে ওঠা তৌহিদ হৃদয়কে শুন্যহাতে ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু।
এরপর অমিত হাসান (২৯), নাহিদুল ইসলাম (৩১) রান পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি, বড় হয়নি তাই সাউথ জোনের রানও।
৪৮.৫ ওভারে ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় জাকির হাসানের দল। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের পক্ষে সমান ২ টি করে উইকেট নেন ৫ বোলার- মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল ইসলাম অপু, সৌম্য সরকার, হাসান মুরাদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস শেষে):
বিসিবি সাউথ জোন ১৬৩/১০ (৪৮.৫), পিনাক ৩৫, বিজয় ২০, অমিত ২৯, হৃদয় ০, জাকির ১৪, নাহিদুল ৩১, মেহেদী ২, ফরহাদ ৭, নাসুম ৫, রাব্বি ১২, মুস্তাফিজ ৩*; সৈকত ১০-০-৪৫-২, অপু ১০-০-২৮-২, সৌম্য ৬.৫-০-১৯-২, মুরাদ ১০-০-২৯-২, মৃত্যুঞ্জয় ৭-১-২৬-২।