

ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অলরাউন্ড নৈপুণ্যেও জিততে পারেনি বিসিবি নর্থ জোন। তবে ব্যাট হাতে দলকে উদ্ধার করা ফিফটির পর বল হাতে ফিরিয়েছেন প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটার ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবালকে। জাতীয় দলের সতীর্থ হয়ে নিয়মিত খেলা ইমরুল কায়েস মাঠ থেকে এদিন মূল্যায়ন করলেন রিয়াদের পারফরম্যান্সকে।
সিলেট একাডেমি মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানেই ৩ উইকেট হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিসিবি নর্থ জোন। সেখান থেকে মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে রিয়াদের ১২০ রানের জুটি। মার্শালের ৫৪ রানের সাথে রিয়াদের ব্যাটে সর্বোচ্চ ৮৭ বলে ৬৬ রান। দুজনের ব্যাটে বিসিবি নর্থ জোন পায় ২১৬ রানের পুঁজি।
জবাবে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ৩৭.৫ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। যেখানে সর্বোচ্চ ৭১ রান আসে অধিনায়ক ও ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতা ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। এই দুজনকেই ফেরান রিয়াদ, এর বাইরে নেন নাদিফ চৌধুরীর উইকেটও।
ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে ইমরুল জানান তার জন্য রিয়াদ সবসময়ই কঠিন বোলার। নিজের সাথে তামিমের জন্যও বিপজ্জনক বলেছেন রিয়াদকে।
তার মতে, ‘বোলার রিয়াদ ভাই, অনেক বিপজ্জনক বোলার। যেকোনো সময় উনি উইকেট বের করে দেয়, যেকোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করে দেয়। বিশেষ করে তামিম আর আমিতো উনার বলেই বেশিরভাগ আউট হই। আমার জন্য একটু কঠিন (হাসি)।’
ব্যাটার রিয়াদকে তো সবসময়ের জন্য নির্ভরযোগ্য উল্লেখ করে ইমরুল যোগ করেন, ‘রিয়াদ ভাই সবসময়ই নির্ভরযোগ্য আমি মনে করি। আজ সকালে ওদের যখন ৩ উইকেট পড়ে যায় আমার মনে হয় রিয়াদ ভাই না থাকলে তারা ১৫০ রানের ভেতর অলআউট হয়ে যেতো।’
‘কিন্তু সে জায়গায় রিয়াদ ভাই পরিস্থিতি বুঝেছে এবং দলকে টেনে নিয়েছে। রিয়াদ ভাইয়ের মতো ব্যাটসম্যানের কাছে দল এমনটাই চায়। রিয়াদ ভাইও ঠিক সেটাই প্রয়োগ করেছে।’