

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের। প্রথম সেশনে ফিফটি, দ্বিতীয় সেশনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। তার ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহের পথে কিউইরা। ১ উইকেটে ২০২ রান তুলে চা বিরতিতে গেলো নিউজিল্যান্ড।
১১৮ রানে অপরাজিত আছেন ল্যাথাম, উইল ইয়াংয়ের পর তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া ডেভন কনওয়ে অপরাজিত ২৮ রানে। ৫৪ রান করে আউট হন ইয়াং। দ্বিতীয় সেশনে নিউজিল্যান্ড যোগ করলো ১১০ রান।
বিনা উইকেটে ৯২ রান তুলে লাঞ্চে যায় কিউইরা। ৬৬ রানে ল্যাথাম ও ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াং।
লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই এবাদত ফেরাতে পারতেন ইয়াংকে। ২৬ রানে ব্যাট করা ইয়াংয়ের দেওয়া সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন দ্বিতীয় স্লিপে থাকা লিটন দাস। পরের ওভারেই তাসকিনকে চার মেরে দলীয় ও জুটির সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ল্যাথাম।
সময়ের সাথে সাথে টাইগার বোলারদের হতাশা বাড়াতে থাকেন ল্যাথাম-ইয়াং। যে পথে দুজনে গড়েছেন হ্যাগলি ওভালে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। পেছনে ফেলেন ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টম ল্যাথাম ও জিত রাভালের ১২১ রানের আগের সর্বোচ্চ জুটিকে।
৩৫ তম ওভারের প্রথম স্পিন আক্রমণে আনেন টাইগার দলপতি মুমিনুল হক। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের করা দ্বিতীয় বলেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে চার মেরে জানাতে চাইলেন আজ প্রতিপক্ষকে কোনোভাবে সুযোগ দিতে চান না। ততক্ষণে পৌঁছেছেন ৯০ এর ঘরে। একই ওভারে চার মেরে ৯৮ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন ইয়াং।
ফিফটির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকেননি ইয়াং, বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথের বল স্কয়ার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে পয়েন্টে নাইমকে ক্যাচ দেন। তাতে ভাঙে ল্যাথামের সাহে ১৪৮ রানের জুটি, তার ব্যাটে ১১৪ বলে ৫৪ রান।
ব্যক্তিগত ৯৪ রানে ফিরতে পারতেন ল্যাথামও, শরিফুলের শর্ট বলে ঠিকঠাক সংযোগ হয়নি। বল বেশ কিছুক্ষণ বাতাসে থাকলেও তালুবন্দী করার মতো কেউ ছিলোনা উইকেটের আশেপাশে।
৪৫ তম ওভারে ৩ অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার ছুঁয়েছেন ল্যাথাম। ১৩৩ বলে হাঁকানো সেঞ্চুরিটি কিউই অধিনায়কের ক্যারিয়ারের দ্বাদশ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয়।
৫৩তম ওভারেই দলীয় রান পেরোয় ২০০। শেষ পর্যন্ত চা বিরতির আগে দলীয় সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০২ রান। ১৬৪ বলে ১৯ চারে ১১৮ রানে অপরাজিত আছেন ল্যাথাম। ৪৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত কনওয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় সেশন শেষে):
নিউজিল্যান্ড ২০২/১ (৫৪), ল্যাথাম ১১৮*, ইয়াং ৫৪, কনওয়ে ২৮*; শরিফুল ১৩-৪-৩০-১।