

লাঞ্চের এক বল আগে সাবলীলভাবে শরিফুল ইসলামকে পুল করে মারা টম ল্যাথামের বাউন্ডারিটিই ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনের প্রতিচ্ছবি। বড় স্বপ্ন নিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুই থেকে ক্রাইস্টচার্চে এসেছে বাংলাদেশ। তবে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করা বাংলাদেশের ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার।
২৫ ওভারের প্রথম সেশনেই কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৯২ রান। ইতোমধ্যে ফিফটি তুলে ৬৬ রানে অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও ২৬ রানে অপরাজিত আছেন উইল ইয়াং।
হ্যাগলি ওভালের উইকেট ঘাসে মোড়ানো থাকবে অনুমেয়ই। আর সে সুবিধা কাজে লাগাতে টস জিতে মুমিনুল হক নিয়েছেন ফিল্ডিং। একাদশে আসে দুই পরিবর্তন, দুইটিই ইনজুরির কারণে।
মাহমুদুল হাসান জয়ের আঙ্গুলের ইনজুরিতে টেস্ট অভিষেক হচ্ছে মোহাম্মদ নাইম শেখের। ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়া মুশফিকুর রহিমের বদলে সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
অন্যদিকে কিউই একাদশে কেবল একটি পরিবর্তন। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র’র জায়গায় খেলছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল।
উইকেটে ভালো ঘাস ছিলো, শুরু থেকেই পাওয়া যাচ্ছিলো ছোট ছোট সুইং। তবে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম জুটি বেঁধে করা প্রথম ৮ ওভারে খুব একটা অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি কিউই দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াংকে।
ইনিংসের ৯ম ওভারে আক্রমণে আসা আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক এবাদত হোসেন ভালোই ভোগান টম ল্যাথামকে। ওই ওভারে দুইবার কিউই দলপতির বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন করে আম্পায়ারের সাড়াও পেয়ে যান। কিন্ত দুইবারই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যায় ল্যাথাম, উইকেট হিটিং হয়নি একবারও।
এরপর প্রথম পানি পানের বিরতির আগে আর কোনো সমস্যায় পড়েনি কিউইরা। ততক্ষণে ১২ ওভারে স্কোরবোর্ডে উঠে যায় কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৪ রান।
এবাদতের করা পানি পানের বিরতির পরর ওভারেই ২ চার হাঁকিয়ে রানা চাকা আরও সচল করেন ল্যাথাম। ১৫তম ওভারেই দলীয় সংগ্রহ পেরোয় ৫০। এরপর ওয়ানডে মেজাজে খেলা ল্যাথাম নিজের ফিফটি তুলে নেন ৬৫ বলে। অন্যপ্রান্তে অবশ্য উইল ইয়াং ছিলেন টেস্ট মেজাজেই।
শেষ পর্যন্ত লাঞ্চের আগে কিউইদের স্কোরবোর্ডে ২৫ ওভারে ৯২ রান। ৮৩ বলে ১২ চারে ল্যাথাম অপরাজিত ৬৬ রানে। ২৬ রানে অপরাজিত থাকার পথে ৬৭ বল খেলেছেন ইয়াং।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম সেশন শেষে):
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৯২/০ (২৫ ওভার); ইয়াং ২৬*, ল্যাথাম ৬৬*; তাসকিন ১০-২-৩৩-০, শরিফুল ৯-৩-২৭-০, এবাদত ৬-১-৩২-০।