

নিউজিল্যান্ড মানেই উইকেটে ঘাসের আধিপত্য, পেসারদের জন্য স্বর্গ। তবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে উইকেট ছিলো বেশ ন্যাড়া। কিছুটা ব্যাটিং বান্ধব হয়ে পড়া ম্যাচে রাজত্ব করে টাইগাররা, ইতিহাস গড়ে জিতেছে ৮ উইকেটে। তবে আগামীকাল (৯ জানুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে মিলবে পুরোপুরি ভিন্ন উইকেট। পেস সহায়ক উইকেট হলেও ঘাবড়ে যাচ্ছে না বাংলাদেশ, পেসারদের নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী টাইগার কোচ।
বাংলাদেশের পেস আক্রমণ কখনোই প্রতিপক্ষের জন্য হুমকির কারণ হতে পারেনি এর আগে। ঘরের মাঠে স্পিন নির্ভর উইকেটে তো কেবল সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হয়। দেশের বাইরে পেস বান্ধব কন্ডিশনের জন্যও এর আগে পোক্ত ভাবা হতো না তাদের।
তবে এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে বদলে গেছে দৃশ্যপট। ঘরে-বাইরে টানা একাদশে থেকে অভ্যস্ত হওয়া তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন তথা টাইগার পেস বোলিং ইউনিট এনে দিলো ফল। কিছুটা ব্যাটিং বান্ধব হলেও টাইগার পেসাররা নিয়েছেন পুরো ফায়দা, বিশেষ করে ম্যাচ সেরা এবাদত তো দেখিয়েছেন ঝলকই। ৯ বছর পর কোনো বাংলাদেশী পেসার হিসেবে নিয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট।
ছেলেরা স্পেশাল কিছু করতে চায় বলছেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো https://t.co/pXG0Cz7UKF
— Cricket97 (@cricket97bd) January 8, 2022
আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেই অবশ্য পেসারদের চোখকে লোভাতুর করতে যথেষ্ট এমন উইকেটই হতে যাচ্ছে। হ্যাগলি ওভালে বরাবরই এমন উইকেট থাকে, উইকেটে এতোটাই ঘাস থাকে যে মাঝে মাঝে আউটফিল্ড ও উইকেটের পার্থক্য ধরতেই কষ্ট হয়।
সাধারণত এমন উইকেটে খেলার আগে ব্যাকফুটেই থাকতে হয় সফরকারী দলগুলোকে। কিন্তু এবার বাংলাদেশও ঘাসের উইকেটের সুবিধা নিতে মুখিয়ে। তাসকিন, এবাদত, শরিফুল ইসলামদের দিয়ে পাল্টা জবাব দিতে চায় রাসেল ডোমিঙ্গোর দল।
আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী দিন সংবাদ সম্মেলনে টাইগার কোচ বলেন, ‘আমি এখনও পিচ দেখিনি। ডানেডিন, ওয়েলিংটন ও হ্যামিল্টনে গেলেও ক্রাইস্টচার্চে কোনো টেস্টের জন্য আমার আসাও হয়নি আগে। এই উইকেটে পেসাররা অনেক বেশি সুবিধা পায়। এটাও আমাদের সুবিধা দিবে। আমাদের কয়েকজন মানসম্পন্ন পেসার আছে।’
‘খুব কম সময়ই বাংলাদেশ ঘাসের উইকেটে সুবিধা নেওয়ার কথা ভাবতে পারে। আমাদের তিন পেসার অনেক উঁচু মানের, তারা আত্মবিশ্বাসী। শুরুতে বোলিং করতে পারলে আশা করি তাদের ঘায়েল করতে পারব।’
বাংলাদেশকে আগের টেস্টেই ঐতিহাসিক জয় এনে দেওয়া পেসাররা দ্বিতীয় টেস্টের আগে বেশ উজ্জীবিত বলেও জানান ডোমিঙ্গো, ‘তারা অনেক উজ্জীবিত। তারা জানে, ঘরের মাঠে খুব একটা সুবিধা পাবে না এবং সেখানে স্পিনাররাই ৯০ শতাংশ বল করে। এই কন্ডিশনে খেলার জন্য তাই তারা অনেক উন্মুখ হয়ে আছে।’
‘আমাদের ভালো পেসার আছে। কিন্তু তারা এমন কন্ডিশনে বল করার সুযোগ খুব একটা পায় না। লম্বা স্পেলে বল করতে পারে না। উপমহাদেশের কন্ডিশন তাদের পক্ষে থাকে না।’