

এশিয়ান মোটরবাইকস লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠান ভালকান লাইফস্টাইল প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে এইচজেসি ব্র্যান্ডের হেলমেট। ৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) হেলমেট ব্র্যান্ডটির যাত্রা শুরু করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এই অনুষ্ঠানে প্রি বুক করা হেলমেটগুলিতে অটোগ্রাফ দিয়ে ক্রেতাদের হস্তান্তর করেন মাশরাফি। পরে মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের।
নিজে বাইক চালান বলেই জানেন এখানে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রিকেটের মতো এটাকেও চ্যালেঞ্জিং বললেও জীবন হারানোর শঙ্কা আছে মনে করিয়ে দেন মাশরাফি।
মাশরাফি বলেন, ‘পৃথিবীতে সবকিছুই চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জ ছাড়া কিছু নেই। বাইক চালানোও মনের আনন্দে চালায় মানুষ। কেউ প্রয়োজনে, কেউ মনের আনন্দে, কেউ জীবন-জীবিকার জন্য চালায়। বাইকে লাইফ রিস্ক একটু বেশি। ক্রিকেটও চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু লাইফ রিস্ক নাই।’
ক্রিকেটের মানুষ বলেই মাশরাফিকে কথা বলতে হয় ক্রিকেট নিয়েও। সংবাদকর্মীরা জানতে চান মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে জেতা বাংলাদেশ দলের ক্রাইস্টচার্চে কেমন পরিকল্পনা হওয়া উচিৎ। সাবেক এই টেস্ট কাপ্তান অবশ দেশে বসে পরিকল্পনা কি হবে তা ভাবতে বা বলতে নারাজ। বেশি এক্সপেকটেশন রাখতেও না করছেন তিনি।
মাশরাফি বলেন, ‘বাংলাদেশে বসে কী পরিকল্পনা হবে বলাই ঠিক না। এ নিয়ে আলোচনা হওয়া ঠিক না। ওরা এত বড় রেজাল্ট আনছে, ওরা জানে ওদের কী করা উচিত। এখান থেকে কথা বলে লাভ নাই।’
‘এত এক্সপেকটেশন ঠিক না (দল নিয়ে)। নিজেদের এক্সেপেকটেশন লো রাখেন। আমি নিশ্চিত ওরা ওদের সেরাটা দেবে। আর ভাগ্যটা যদি সহায় থাকে, তাহলে ভালো কিছু হবে। শুধু শুধু এখান থেকে আনএক্সপেক্টেড কথা বলে লাভ নাই।’
মিরপুরে মাঠে ফেরার দিন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে যেয়ে মুমিনুল হকের প্রশংসায় মেতেছিলেন, এদিনও আরেক দফা মুমিনুলের ধৈর্যের তারিফ করেন তিনি।
মাশরাফি বলেন, ‘মুমিনুলের ভালো দিক হলো তার কিছু স্টেন্থ আছে। জিনিসটা হচ্ছে ও ভেঙে পড়েনি। টেস্টে খারাপ সময় গিয়েছে। মেইন প্লেয়ার নাই। তারপরও সে যারা আছে তাদের নিয়ে ফাইট করে যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডে রেজাল্ট এসেছে, অবশ্যই সে ভালো কিছু করেছে দেখে এসেছে। ও ভেঙে পড়েনি।’