

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে বিসিবি সাউথ জোন। রিশাদ হোসেনের ৯৯ রানে চড়ে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের জন্য ২১৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ফরহাদ রেজার দল। দিনে মাত্র ৯ ওভার ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। শেষদিন জয়ের জন্য হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শুভাগত হোমের দলকে করতে হবে আরও ১৯২ রান।
৫১ রানে পিছিয়ে থেকে বিসিবি সাউথ জোন গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে, দিন শেষ করে ১ উইকেটে ৪৩ রান তুলে। পিনাক ঘোষ ২২ ও অমিত হাসান ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ চতুর্থ দিনে দুজনে অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি। পিনাক ২৭ ও অমিত ফিরেছেন ৪১ রান করে। আবু হায়দার রনির পেস বোলিং তোপে পরের ব্যাটাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১১৯ রানেই হারায় ৭ উইকেট।
তবে সেখান থেকে রিশাদ হোসেনের ব্যাটে লেখা হয় পরের গল্প। নাসুম আহমেদকে নিয়ে ৮ম উইকেট জুটিতে ৪৪ রান যোগ করেন। নাসুম ৭৩ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ৪১ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন।
এরপর ৯ম উইকেট জুটিতে মেহেদী হাসান রানাকে নিয়ে রিশাদ যোগ করেন আরও ৬১ রান, যেখানে রানার অবদান মাত্র ১১। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে তোলেন আরও ৪৪ রান, যেখানে রাব্বির নেই কোনো রান।
৬৩ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে রিশাদ ছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। কিন্তু শেষ ব্যাটার হিসেবে ফিরেছেন সেঞ্চুরির থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে। ততক্ষণে বিসিবি সাউথ জোনের স্কোরবোর্ডে ২৬৮ রান।
শেষ ৩ উইকেটে বিসিবি সাউথ জোনের তোলা ১৪১ রানের ৯৯ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। বিসিবি সাউথ জোনের লিড দাঁড়ায় ২১৭ রানের। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির। চলতি বিসিএলে এটি তার দ্বিতীয় ৫ উইকেট শিকার।
২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এদিন মাত্র ৯ ওভার ব্যাট করতে পারে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। তবে তাতেই নাসুম আহমেদের স্পিন ঘূর্ণিতে কাবু হতে হয়েছে, ২৬ রানেই হারায় ৩ উইকেট। আউট হওয়া ৩ ব্যাটারের কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। সৌম্য সরকার ৮ ও সালমান হোসেন ইমন অপরাজিত আছেন ৫ রানে। নাসুম ২ ওভারে ২ মেডেনসহ নেন ২ উইকেট।