

আহামরি পারফর্ম করতে না পারলেও এবাদত হোসেনকে টানা সুযোগ দেওয়া নিয়ে কিছুটা সমালোচনার ফিসফাস ছিলোই। তবে সব কিছুকে পেছনে ফেলে এবাদত রূপ নিলেন রুদ্র মূর্তিতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে মাউন্ট মঙ্গানুইতে তার তোপেই দ্বিতীয় ইনিংসে কাবু হয়েছে নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা। এবাদতের এমন পারফরম্যান্সে অবশ্য অবাক হননি অধিনায়ক মুমিনুল, তিনি জানতেন যেদিন এবাদত জ্বলে উঠবে সেদিন প্রতিপক্ষ শেষ।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট শুরুর আগে ১০ ম্যাচে এবাদতের নামের পাশে ছিলো ১১ উইকেট। যেখানে বোলিং গড় আরও দৃষ্টিকটু (৮১.৫৫)। এমন পারফরম্যান্সের পরও তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামের সাথে আবু জায়েদ রাহিকে না খেলিয়ে সুযোগ দেওয়া হলো এবাদতকে।
সুযোগ পেয়ে এবাদত দুহাত ভরে দিলেন, নিজের ক্যারিয়ার সেরাতো বটেই ৯ বছর পর বাংলাদেশের কোনো পেসারের ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়লেন। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়া এবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রান খরচায় নিলেন ৬ উইকেট।
INCREDIBLE!
Ebadot Hossain is a hero #BANvNZ #NZvBAN pic.twitter.com/UC6QX2uEG8
— Cricket97 (@cricket97bd) January 4, 2022
তার বোলিং তোপেই দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ফলে ৪০ রানের সহজ ও ছোট লক্ষ্য পেয়ে যায় টাইগাররা, জয় এসেছে ৮ উইকেটের। গত ২ বছর নিজেকে মেলে ধরতে না পারা এবাদত নিউজিল্যান্ডে যা করেছে তা কোনভাবেই অবাক করেনি অধিনায়ক মুমিনুলকে।
বরং টাইগার দলপতি বলছেন এবাদতের এমন একটা দিনের আশাতেই ছিলেন তারা, কারণ এবাদত যেদিন ভালো করবে সেদিন প্রতিপক্ষ শেষ হয়ে যাবে জানতেন।
মুমিনুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘(এবাদতকে নিয়ে) আমি বিস্মিত নই। আমি জানি, দলের অনেকেই জানে, ও যে মাপের বোলার, হয়তো বল এক জায়গায় করতে পারে না, যেদিন ভালো জায়গায় বল করবে, ওই দিন ওই দল শেষ। কিন্তু ওর এটা ধারাবাহিক ছিল না। সবশেষ ২-৩ বছর ধরে আমাদের বোলিং কোচ অনেক পরিশ্রম করছে ওকে নিয়ে। এমনকি আমিও করছি। গত ১-২ বছর ধরে টানা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এটার ফল কালকে আর আজকে দিয়েছে ম্যাচ জিতিয়ে।’
‘গত ২-৩ বছর সে বেশ পরিশ্রম করছিলো। সে বিমানবাহিনী থেকে এসেছে, একজন ভলিবল খেলোয়াড় ছিলো সে। আমি মনে করি আমাদের বোলিং কোচ অন্যান্যরা তাকে বেশ সমর্থন জুগিয়েছে। ভালো জায়গায় সে বল করেছে, দুর্দান্ত ও অবিশ্বাস্য স্পেল উপহার দিয়েছে আমাদের। এমন কিছু সে সামনে অনেকদিন টেনে নিবে এমনটাই আশা করছি।’