

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। যেখানে বল হাতে আগুন ঝরালেন পেসার এবাদত হোসেন। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতা এবাদত জানালেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ তৈরির লক্ষ্যেই এবার যেকোনো মূল্যে জিততে চেয়েছে বাংলাদেশ। শুনিয়েছেন উইকেট শিকারের পর স্যালুট দেওয়ার পেছনের গল্প।
ঘরে কিংবা বাইরে কোনো কন্ডিশনেই এবাদতের পারফম্যান্স মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের আগের ১০ ম্যাচে মূল্যায়ণ যোগ্য ছিলো না। অথচ সেই এবাদতই নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের নায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ১৬৯ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট।
এর আগে নিউজিল্যান্ড সফরে কোনো ফরম্যাটেই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ৩২ ম্যাচের ৯ টি ছিলো টেস্ট। অথচ এবার নিজেদের সবচেয়ে নাজুক ফরম্যাট টেস্ট দিয়েই কিনা ঐতিহাসিক জয় এলো। ২০১১ সালের পর কোনো এশিয়ার দল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলো।
ম্যাচ শেষে এবাদত জানান অতীত পরিসংখ্যান জানা ছিলো, কেউ না পারলেও তারা করে দেখাতে চেয়েছেন। ইতিহাস গড়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দিতে চেয়ছেন বার্তা।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আল্লাহকে। দ্বিতীয়ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আমাদের দল ২১ বছর ধরে কোনো ম্যাচ জেতেনি। এবার একটা লক্ষ্য ঠিক করে এসেছিলাম। নিজেদের হাত তুলেছি, আর বলেছি তারা টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাদের হারানোর উদাহরণ রেখে যেতে হবে।’
প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়া এবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৪৬ রানে ৬ উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে পুড়ে ছারখার করেছেন স্বাগতিকদের।
এবাদত বলছেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সাথে কাজ করে যেভাবে সফল হয়েছেন, ‘গত দুই বছরে ওটিস গিবসনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ঘরের মাঠে কন্ডিশন সবসময় ফ্ল্যাট থাকে। আমরা এখনো বাইরে কীভাবে বল ও রিভার্স করতে হয় সেটা শিখছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্য ধরতে হয়েছে।’
একসময় বিমানবাহিনীতে চাকরি করা এবাদত রবি পেসার হান্ট দিয়ে প্রথম নজর কাড়েন। ক্রিকেটের প্রতি নিবেদনের কারণেই ছেড়ে এসেছেন বিমানবাহিনীর চাকরি। উইকেট শিকারের পর তার স্যালুট প্রদর্শন বিমানবাহিনীর চাকরির প্রতি সম্মান থেকেই।
এবাদত যোগ করেন, ‘আমি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সদস্য, জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়। আর ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক লম্বা। আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করছি। বাংলাদেশ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করাও।’